তিহাড় জেলে ছ’মাস কাটানোর পরে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন কানিমোঝি। টু জি মামলায় অভিযুক্ত এই ডিএমকে সাংসদকে আজ জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাঁর সঙ্গে জামিন পেয়েছেন টু জি কাণ্ডে অভিযুক্ত আরও চার জন। এঁদের মধ্যে আছেন, কলাইনার টিভি-র অধিকর্তা শরদ কুমার, বলিউড ছবি নির্মাতা করিম মোরানি, কুসেগাঁও ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবলস-এর দুই অধিকর্তা রাজীব অগ্রবাল এবং আসিফ বলওয়া।
এঁরা প্রত্যেকেই ৫ লক্ষ টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন পাচ্ছেন। মূলত সিবিআই এঁদের জামিনের আবেদনে আপত্তি না জানানোয় হাইকোর্টও জামিনে সায় দিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি বি কে শালি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে শর্তে অন্য টু জি অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছে, সেই শর্তগুলো কানিমোঝিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।”
|
আদালতে কানিমোঝি। পিটিআইয়ের ছবি। |
তবে টু জি-কাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরাকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। কারণ সিবিআই তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছে। তা ছাড়া কোর্টের মতে, সরকারি কর্মচারী হওয়ায় বেহুরার ভূমিকা আরও কড়া নজরে দেখা হবে কারণ বিষয়টি জনস্বার্থের সঙ্গে জড়িত। এর আগে এ মাসের গোড়ায় বিশেষ সিবিআই আদালতে কানিমোঝিদের জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। আজ হাইকোর্ট তাঁদের জামিন মঞ্জুর করার পাশাপাশি জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রতি বার শুনানির সময় হাজিরা দিতে হবে। হাজিরার দিন আসতে না পারলে আগে থেকে অনুমতি চাইতে হবে। আর এর সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের শর্তানুযায়ী অভিযুক্তদের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং তাঁরা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কন্যা জামিন পাওয়ায় যথেষ্ট খুশি ডিএমকে প্রধান করুণানিধি। তিনি আজ বলেছেন, “কানিমোঝি জামিন পেয়েছে। খুব ভাল খবর। কোর্টের রায় শোনার পরেই ওর সঙ্গে কথা হয়েছে।” দলে কি এ বার কানিমোঝিকে নতুন কোনও পদে নেওয়া হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে করুণানিধি বলেন, “আমি একনায়ক নই। দলই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।” |