|
|
|
|
টুকরো খবর |
মা অসুস্থ, দূরের জেলা সফর বাতিল মমতার
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মায়ের অসুস্থতার জন্য পূর্বনির্ধারিত দূরের জেলা সফরসূচি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাঁর দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল। আপাতত তিনি তা বাতিল করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার জানান।
মমতা বৃহস্পতিবার হুগলি যাবেন বলে ঠিক আছে। সোমবারেই হাওড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হুগলি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কলকাতা সফরের জন্য এ দিন তিনি সেই কর্মসূচি বাতিল করেন। মুখ্যমন্ত্রীর মা গায়ত্রীদেবীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর ডায়ালিসিস হয়েছে শনিবার। এ দিন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভাল। এখনও ভেন্টিলেটর লাগানো থাকলেও সব সময় তার সাহায্য দরকার হচ্ছে না। এ দিন কিছু ক্ষণ তিনি নিজেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছেন। ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, “সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি। তবে তুলনামূলক ভাবে অবস্থা স্থিতিশীল।” |
মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করলেন কবীর সুমন |
মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানালেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন। ‘বিতর্কিত’ গায়ক সুমন নিজের ওয়েবসাইটে ১৪ পৃষ্ঠা জুড়ে লিখেছেন, ‘উনি আমাকে বহিষ্কার করুন। কয়েক মাস আগে আমি ওঁকে ফোনে জানিয়েছিলাম, উনি চাইলে আমি নিজেকে সরিয়ে নেব। তারও আগে ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে আমার গান লেখাকে কেন্দ্র করে ওঁর সঙ্গে আমার মতপার্থক্য হয়েছিল। তখনই ওঁকে জানিয়েছিলাম, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সাংসদ নই। আমি প্রথমে সুমন’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা সম্প্রতি মহাকরণে বলেন, সুমন যে চরমপন্থীদের সমর্থক, তা না জেনে তিনি তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন। এটা তাঁর ভুল হয়েছিল। মমতার আরও বক্তব্য, তিনি সুমনকে এক সেকেন্ডেই বরখাস্ত করতে পারেন। কিন্তু তাতে সুমনই সুযোগ পেয়ে যাবেন বলে তা তিনি করছেন না। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, মমতার ওই কথার প্রেক্ষিতে সুমনের বক্তব্য, ‘আপনি যেমন বুঝতে পারেননি, আমি এক জন চরমপন্থী, তেমনই আমিও অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি। বোঝা উচিত ছিল।’ সুমন ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে ওই একই সাইটে ‘নায়ক’ নামে তাঁর নিজের লেখা একটি গান আপলোড করেছেন। সেখানে সুমন নিহত মাওবাদী নেতা কিষেণজির নাম না করে প্রশংসা করেছেন। |
থমকে প্রকল্প |
ক্যাপ্টেন ভেড়ি থেকে গড়িয়ার ঢালাই সেতু পর্যন্ত বাইপাস চওড়া করার কাজ কার্যত থমকে যাওয়ার মুখে। রাস্তাটি চার লেন থেকে বাড়িয়ে আট লেন করার কাজ শুরু হয় চলতি বছরের গোড়ায়। কিন্তু এ পর্যন্ত ২২.৭ কিলোমিটার ওই রাস্তা চওড়া করার প্রকল্পের মাত্র ৪০০ মিটারের নকশা তৈরি হয়েছে। সেই ৪০০ মিটারের কাজ মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার পরে কী হবে? ঠিকাদারি সংস্থা এখনও বুঝতে পারছে না। কারণ, তারা বাকি রাস্তার ড্রয়িং বা কাজের নকশা পায়নি। আগেই বাম সরকার বাইপাসের রাস্তা চওড়া করার জন্য কেন্দ্রের সহায়তায় জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের অনুমোদন নেয়। বরাদ্দ হয় ৭৩ কোটির কিছু বেশি টাকা। কেএমডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগের সরকার এই রকম বহু কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। এত বড় রাস্তার কাজ শুরু হলেও তার সম্পূর্ণ নকশা তৈরি হয়নি। ওই রাস্তার নীচে, চারপাশে কী অবস্থা রয়েছে তা-ও দেখা হয়নি। ফলে, মার্চ মাসে চলতি কাজ শেষ হয়ে গেলে তখন দেখা যাবে কী করা যায়। আসলে প্রকল্পটি ত্রুটিপূর্ণ বলে ইঞ্জিনিয়ারদের মত।” |
টিভি-পাগল শিশুর মৃত্যু, ধৃত ঠাকুরমা |
তাঁর কাছে থেকেই নাতি বড় হচ্ছিল। নাতির ভাল-মন্দ তিনিই দেখতেন। কিন্তু সেই ভাল-মন্দ দেখতে যাওয়াটাই যে কাল হবে, বুঝতে পারেননি ঠাকুরমা। নাতি টিভি-পাগল। বড্ড বেশি টিভি দেখছে বলে তাকে শাসন করতে চেয়েছিলেন ঠাকুরমা। আর তারই জেরে মৃত্যু হল সাত বছরের নাতির।
কী হয়েছিল? পুলিশ জানায়, দমদমের বাসিন্দা শুভঙ্কর সাধুখাঁ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। ঠাকুরমার কাছেই মানুষ হচ্ছিল সে। কাছাকাছি অন্য একটি বাড়িতে শুভঙ্করের অন্য ভাইকে নিয়ে থাকেন তার বাবা-মা। রবিবার দুপুরে শুভঙ্কর টিভি দেখছিল। নিষেধ করেন ঠাকুরমা। কথা না-শোনায় বৃদ্ধা তার নাক চেপে ধরলে শুভঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে সে মারা যায়। পুলিশ সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মর্মাহত বৃদ্ধা তাদের জানান, নাতি লেখাপড়া করতে চাইত না। খালি টিভি দেখত। তাই তিনি শাসন করতে চেয়েছিলেন। তাতে যে এমন হবে, তা বুঝতে পারেননি তিনি। |
পুড়ে মৃত বধূ |
আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। মৃতার নাম তাপসী দাঁ (৪৭)। বাড়ি পর্ণশ্রীর ব্যানার্জিপাড়া রোডে। পুলিশ জেনেছে, সোমবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন তাপসীদেবী। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় তাপসীদেবীর স্বামী অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটি আত্মহত্যা। ঘটনাস্থলে একটি সুইসাইড নোটও মেলে। |
দেহ উদ্ধার |
দরজা ভেঙে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ। সোমবার বিকেলে, বেহালা থানার বুড়োশিবতলা মেন রোডের এক আবাসন থেকে। মৃতার নাম রানি সাহা (৭০)। চারতলার একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি। নিউ মার্কেট এলাকায় তাঁর একটি রেশন দোকান আছে। পুলিশ জানায়, দিন তিনেক ধরে রানিদেবীর ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পড়শিরাই থানায় খবর দেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বয়সজনিত অসুস্থতার কারণেই এই মৃত্যু। তদন্ত চলছে। |
দু’টি দুর্ঘটনা, জখম ২ |
রাস্তা পেরোতে গিয়ে অটোর ধাক্কায় আহত হলেন এক পথচারী। সোমবার দুপুরে, বিধাননগর সরকারি কলেজের কাছে। পুলিশ জানায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোটি উল্টে যায়। আহত হন অটোর এক যাত্রী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যাসাগর মোড়ের কাছের আইল্যান্ডটি একটি সরকারি প্রকল্পের জন্য ভেঙে ফেলা হয়। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ দিনই সন্ধ্যায় ২০৬ বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি অটোর ধাক্কায় আহত হন এক বৃদ্ধ। তাঁকে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। |
বস্তিতে আগুন |
নারকেলডাঙার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের এক বস্তিতে আগুন লাগে সোমবার। তবে, কোনও হতাহতের খবর নেই। দমকল জানায়, এ দিন সন্ধে সওয়া ছ’টা নাগাদ ওই বস্তির দু’টি ঘরে আগুন লাগে। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই আগুন। |
|
|
|
|
|