রক্তপাত আর গণবিক্ষোভের পরে গণতন্ত্রের পথে পদক্ষেপ করতে চলেছে মিশর। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের পরে আজ প্রথম নির্বাচন হচ্ছে সে দেশে। আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। চলবে আগামিকাল পর্যন্ত।
মুবারকের পরে মিশরে ক্ষমতার রাশ ছিল সেনা কর্তৃপক্ষের হাতে। দেশে গণতন্ত্র আনার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। কিন্তু, সে কাজে দেরি হওয়ায় শুরু হয় গণবিক্ষোভ। মুবারক জমানায় বিক্ষোভের প্রধান কেন্দ্র তাহরির স্কোয়্যার ফের ভরে উঠতে থাকে পরিবর্তনকামী জনতায়। বহু বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে অবশেষে গণতন্ত্রের প্রথম ধাপের স্বাদ পেয়েছেন মিশরের আম-জনতা। |
ভোট দেওয়ার লাইনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আমের মুসা। ছবি: এএফপি |
জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। প্রথমে পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে ৪৯৮টি আসনের জন্য ভোট দেন মানুষ। তিন দফায় এই নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় সোম ও মঙ্গলবার ভোট হচ্ছে কায়রো, আলেকজান্দ্রিয়া, ফায়ুম, লুক্সর, পোর্ট সৈয়দ, ডামিয়েট্টা, কাফর অল-শেখ ও লোহিত সাগর সংলগ্ন এলাকায়। নিম্ন কক্ষের বাকি ১০ জন সদস্যকে নিয়োগ করবেন অন্তর্বর্তী সামরিক শাসক হুসেন টানটাউই। পরে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের জন্য ভোট নেওয়া হবে। ভোটে লড়ছে মোট ৫০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল। সেই সঙ্গে রয়েছেন অনেক নির্দল প্রার্থীও। তবে ভোট দেওয়ার পদ্ধতিতে জটিলতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। নিম্ন কক্ষের নির্বাচনের ফল ১৩ জানুয়ারি জানা যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। |