টুকরো খবর
সফল জিরো টিলেজ, শ্রীও
নতুন প্রযুক্তিতে ধানের রেকর্ড ফলনে খুশি কৃষি দফতর ও চাষি মহলে। সাবেক পদ্ধতির তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ময়নাগুড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীব দাস বলেন, “নতুন প্রযুক্তিতে পরীক্ষামূলক ধান চাষে সাফল্য এসেছে। শুরুতে প্রযুক্তি প্রয়োগে সমস্যায় পড়েন দফতরের কর্মীরা। এক সময় যে চাষি ভয় পেয়েছিলেন লোকসানের, এখন তাঁরা সাফল্য দেখে নতুন প্রযুক্তি চেয়ে পাগল করছেন।” এক দিকে সাবেক চাষ করা ধান খেত। অন্য দিকে আধুনিক শ্রী এবং জিরো টিলেজ প্রযুক্তি। চারদিক সোনালি হলেও তফাতটা স্পষ্ট। অনেকটাই ঘন আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করা মাঠের রং। হবে না কেন? সাবেক পদ্ধতিতে একটি গাছায় পাশকাটি হয়েছে ৭টি থেকে ১০টি। অথচ শ্রী পদ্ধতিতে চাষ করা খেতে পাশকাঠির সংখ্যা ৩০টি। প্রতিটি কাঠির মাথায় থোকা ধানে ভরা শিষ ঝুলছে। ধান ঘরে তোলার আগেই গাছার গড়ন ও স্বাস্থ্য দেখে বাগজান গ্রামের পরিমল মোহন্ত, বরুণ রায়, বেংকান্দির শাহজাহান আলম, সুমন দে, দক্ষিণ মৌয়ামারির সুনীল মজুমদাররা উচ্ছ্বসিত। খেতের পরিস্থিতি দেখে তাঁরা নিশ্চিত বিঘা প্রতি গড়ে ২০ মণ ধান ঘরে উঠবে। তাঁদের অনেকে ধান কাটার কাজ শুরু করেছেন। সুনীলবাবু বলেন, “শুরুতে নতুন পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। কী হবে ধারণা ছিল না। কিন্তু কৃষি দফতরের কর্তারা পাশে দাঁড়ানোয় সুবিধা হয়েছে। এত দিনের ধারণা পাল্টে গিয়েছে।” চাষিরা জানান, জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি উৎপাদন হচ্ছে ১৫-১৮ মণ ধান। আর শ্রী পদ্ধতিতে চাষে বিঘা প্রতি জমি থেকে মিলছে ২০ মণ ধান। কৃষি সহায়ক দিলীপ সাহা বলেন, “দিনের পর দিন গ্রামে ঘুরে সভা করতে হয়েছে। প্রথমে কেউ সাবকি প্রথা থেকে বের হতে চায়নি। অনেক চেষ্টার পরে কয়েকজনকে রাজি করানো যায়। এখন সুফল দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন।”

কলেজ গড়ার উদ্যোগ
কালচিনি ও হ্যামিলটনগঞ্জের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজ স্থাপনে উদ্যোগী হল কালচিনি ব্লক ব্যবসায়ী সমিতি। ৩০ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে সাংসদ, বিধায়ক সকলকে নিয়ে নতুন কলেজ গড়ার বিষয়ে আলোচনা সভা ডেকেছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা। আলিপুরদুয়ারের আরএসপি সাংসদ মনোহর তিরকি জানান, কালচিনি ব্লকের জয়গাঁতে ২০০০ সালে ননী ভট্টাচার্য স্মারক মহাবিদ্যালয় গড়া হয়। কালচিনি ব্লকের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা অনেকটা কমেছে। তবে কালচিনি, চুয়াপাড়া, সেন্ট্রাল ডুয়ার্স, ভাটপাড়া, মেচপাড়া, হ্যামিলটনগঞ্জ, সাঁতালি, মেন্দাবাড়ি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার শিক্ষার্থীদের ২০-৩০ কিমি দূরে জয়গাঁয় যেতে হয়। তিনি বলেন, “কালচিনি ব্লক ব্যবসায়ী সংগঠন হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। আমি সাংসদ কোটার তহবিল থেকে নতুন কলেজ স্থাপনের সাহায্য করব।” কালচিনি ব্লক কংগ্রেস নেতা বাবলু মজুমদার বলেন, “কালচিনি, হ্যামিলটনগঞ্জের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধের জন্য একটি কলেজ খুব প্রয়োজন। বর্ষাকালে বাসরা, কালজানি সহ বিভিন্ন নদীতে জল বাড়লে ছাত্রছাত্রীদের কলেজে যেতে অসুবিধে পড়তে হয়।” কালচিনি ব্লক ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণপদ বসুবল বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী নতুন কলেজ করতে গেলে একটি কমিটি গঠন করে পাঁচ একর জমি ও কুড়ি লক্ষা টাকার তহবিল পেশ করতে হয় সংশ্লিষ্ট দফতরে। তারপরে শিক্ষা দফতরে বিষয়টি নিয়ে আবেদন করলে অনুমোদন মেলে। আমরা ৩০ নভেম্বর হ্যামিলটনগঞ্জে কলেজ তৈরির জন্য সব রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে কলেজ তৈরির একটি কমিটি গঠনের জন্য সভা ডেকেছি।” উদ্যোক্তারা, প্রাথমিক ভাবে কলেজ স্থাপন জন্য ইউনিয়ন অ্যাকাডেমি হাই স্কুলের পিছনে একটি সাড়ে তিন একর জায়গা ও লতাবাড়ি স্কুলের পিছনে একটি জায়গায় বেছেছেন। কলেজ গঠনের বিষয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে সমিতির সম্পাদক জানান।

প্রতারণার সচেতনতা
কয়েক মাসে লগ্নি করা টাকা দ্বিগুণ করার প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার ঘটনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার কাজে নামল বিসিপিএস স্কুল ফর নর্থ ইস্টার্ন ইকনমিক ডেভলপমেন্ট সোসাইটি। সংস্থার পক্ষ থেকে শিবমন্দিরে তরাই বইমেলায় স্টল দিয়ে প্রতিদিন প্রচারের কাজ চলছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষিত সুদের বাইরে কোনও সংস্থাই যে বাড়তি টাকা দিতে পারে না, সেই বিষয়েও প্রচার করছেন সংস্থার কর্তারা। সংস্থার পক্ষে বিজন চক্রবর্তী বলেন, “গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সংস্থা উত্তরবঙ্গে লগ্নির নাম করে একশো কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করা করেছে। বিষয়টি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তাদেরও নজরে এসেছে। তাই লগ্নিকারীদের কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত সেই ব্যাপারে সচেতন করার কাজ চলছে।” শিলিগুড়িতে যাতে ফিনান্সিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ক্রেডিট কাউন্সেলিং কেন্দ্র খোলা যায় সেই ব্যাপারেও তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন বলে বিজনবাবু এই দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এলাকায় এই ধরনের কাউন্সেলিং কেন্দ্র খোলা হলে বিনিয়োগকারী মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।”

সম্মেলন
ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে রাজ্য সরকারি সংগঠন হিসেবে মর্যাদা পেলেও সরকারি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলনের সিদ্ধান্তও তাঁরা নিতে প্রস্তুত। রবিবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন ইউনিফায়েডের সপ্তম দ্বিবার্ষিক জেলা সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হলে শনিবার ও রবিবার সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সুযোগ সুবিধের দরবার করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনায় বসা হবে বলে সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক গৌরমোহন দাসঠাকুর বলেন, “এত দিনে সরকারি কর্মীদের সংগঠন হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আগের সরকার রাজ্যকে দেউলিয়া করে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নতুন সরকারের কিছু সময় চাই। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সেই আশ্বাসই দিয়েছেন।” সম্মেলনে নতুন জেলা কমিটি গঠন হয়েছে। রানা রায় সভাপতি ও সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

শিক্ষা সেলের দাবিপত্র পেশ

প্রাথমিক স্কুলের উন্নয়ন নিয়ে ৪০ দফা দাবিপত্র পেশ করল তৃনমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সুষ্ঠ পঠনপাঠনের দাবী স্মারকলিপি ফ্যাক্স করল তৃনমূলের শিক্ষা সেলের নেতারা। তৃনমূলের শিক্ষা সেলের কালচিনির আহ্বায়ক জয়দেব রায় জানান, প্রতিটি স্কুলে আধিকারিকদের নিয়মিত পরিদর্শন জরুরি। ছাত্র ছাত্রীদের উন্নতমানের পোশাক, শরীর শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষক শিক্ষিকাদের হেলথ হেলথ্ স্কিম চালুর মত দাবিগুলি জানানো হয়েছে।

বস্ত্র বিলি
শীত পড়তেই শহরের পাঁচশো মহিলাকে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন। রবিবার সকালে আশ্রমের প্রাঙ্গন থেকেই ওই মহিলাদের শীতবস্ত্র বিলি করা হয়। আশ্রম সূত্রে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া সুভাষ উন্নয়ন পল্লি, পিলখানা, সুকান্তনগর এলাকায় গিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের চিহ্নিত করা হয়। সেই মতো রবিবার দুঃস্থেরা প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হলে আশ্রমের সম্পাদক স্বামী অশ্রয়ানন্দ তাঁদের হাতে শীতবস্ত্র দেন।

সেরা রাজ
দিল্লির গাঁধী ধামে সেন্ট্রাল জোনাল টিটিতে যুব বিভাগে সেরা হল রাজ মণ্ডল। রবিবার ফাইনালে রাজ তামিলনাড়ুর প্রভাকরনকে ৪-২ হারিয়েছে। পুরুষ বিভাগে শিলিগুড়ির শুভজিৎ সাহা পেট্রোলিয়াম স্পোর্টস প্রমোশন বোর্ড (পিএসপিবি)-র হয়ে খেলেন। ফাইনালে তাঁকে উড়িয়ে দিয়েছে তামিলনাড়ুর এ অমল রাজ। মেয়েদের যুব বিভাগে শিলিগুড়ির অঙ্কিতা দাস ফাইনালে ৪-১ গেমে হেরে যায় মনিকা বাত্রার কাছে। মহিলা বিভাগে অঙ্কিতা কে স্বামিনীর কাছে সেমিফাইনালে হেরেই বিদায় নিয়েছিল। জোনাল থেকে ২টি করে সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জ এসেছে উত্তরবঙ্গের ঝুলিতে। রাজ মণ্ডল ছাড়া সোনা এনেছে ক্যাডেট বিভাগের অকাশ নাথ। ক্যাডেট বিভাগে জিদান কুমার গগৈ সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় একটি ব্রোঞ্জ এসেছে।

কম্বল বিলি
দুঃস্থদের ভয়েস অব শিলিগুড়ির উদ্যোগে কম্বল বিলি করা হল। রবিবার শহরের ৩৭৫ জন গরিব পরিবারের বাসিন্দাদের তারা কম্বল দেয়। ছিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। সংগঠনের তরফে সম্পা দাস জানান, শহরের গরিবদের সাহায্য করতেই এ দিন কম্বল বিলি করা হয়েছে। নতুন কমিটি। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংঘের জলপাইগুড়ি কমিটির সম্পাদক হন সুজিত ঘোষ। নতুন কমিটির সহ সম্পাদক হয়েছেন শান্তনু ভৌমিক। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সম্মেলনে নতুন ওই কমিটি তৈরি হয়। সংগঠন সভাপতি হন সমীর সেনগুপ্ত। আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষা করার দাবিতে এই সংগঠন দীর্ঘ দিন আন্দোলন করে আসছে।

ভস্মীভূত ৬টি ঘর
আগুনে চার খেত মজুরের ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের প্রমোদনগরে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি বাসিন্দারা জানান, শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে ৪টি পরিবারের সদস্যরা অন্যের জমিতে আমন ধান কাটতে গিয়েছিলেন। টিনের চাল ও দরমার বেড়া দেওয়া বাড়িগুলি নিমিষের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়েছে। ধূপগুড়ি থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ রায় বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে জন্য ব্লক প্রশাসনকে জানানো হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.