হৃদরোগে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
মারপিটের জেরে ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এই খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে ফাঁসিদেওয়ার থানার জ্যোতিনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম শিখা ঢালি (৪৫)। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, ছেলেটি সামান্য চোট পেলেও গুরুতর কিছু নয়। কেউ বিষয়টি বাড়িয়ে বলায় সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে। বাগডোগরার সার্কেল ইন্সপেক্টর বিমলকুমার মণ্ডল বলেন, “ওই মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” এ দিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। রাস্তাও অবরোধ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সিআই বলেন, “পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই একই এলাকায় লিটন ঢালি ও শিবাজিৎ মণ্ডল নামে দুই ছাত্রের বাড়ি। দু’জনই ফাঁসিদেওয়া হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় লিটন শিবাজিৎকে মারধর করে বলে অভিযোগ। কিন্তু এই নিয়ে সে বাড়িতে কাউকে কিছু জানায়নি। দু’দিন ধরে সে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় শুয়ে থাকত। শনিবার তার বাবা খোকনবাবু ছেলেকে চেপে ধরলে সে ‘লিটন’ তাকে মেরেছে বলে জানায়। তা জানার পর খোকনবাবু লিটনকে বাড়িতে ডেকে আনেন। লিটন বিষয়টি অস্বীকার করে খোকনবাবুকে গালি দেয় বলে অভিযোগ। ওই সময়ে লিটনকে চড় মারলে কান দিয়ে রক্ত বার হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা লিটনের বাড়ির কাউকে না-জানিয়ে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। রাতে লিটনের মা জানতে পারেন, তার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন শিখা দেবী। |