বিডিওদের বাড়তি দায়িত্ব
মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত স্বাগত জানালেন ডব্লুবিসিএস-রা
ন্নয়নের কাজে বিডিওদের আরও দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার শিলিগুড়ির মৈনাক হোটেলে আয়োজিত সমিতির উত্তরবঙ্গ শাখার কনভেনশনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ জানা বলেন, “বহু বার বলার পরেও পূর্বতন রাজ্য সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করলেও উন্নয়নের কাজে আমাদের কোথায় বাধা আসছে তা খতিয়ে দেখেনি। ফলে সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়টি কথায় কথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নয়া সরকার সেই দিশা দেখিয়েছেন।” ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, ব্লক স্তরে সাধারণ মানুষ যে কোনও সমস্যার সমাধানে বিডিওদের কাছে দৌড়ে গেলেও বেশ কিছু আধিকারিক সরাসরি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে নয়। ফলে সমাধানের রাস্তা জানা থাকা সত্বেও তাঁরা কিছুই করতে পারতেন না। ব্লক রিলিফ অফিসারের বন্যার মরসুম ছাড়া অন্য সময়ে কোনও কাজ না-থাকলেও তাঁকে কোনও কাজে লাগানো যেত না। অথচ নির্বাচনের সময়ে ব্লকের সমস্ত অফিসার বিডিওদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় কাজ করতে কোনও সমস্যা হয় না। রাজ্য নয়া সরকার গঠনের পরে এই বিষয়টি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানান। তার পরে ব্লক ডেভলপমেন্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ব্লকের সমস্ত অফিসারদের বিডিওদের অধীনে আনা হলে কাজে সুবিধে হবে বলে জানান প্রদীপবাবু।
ছবি: সন্দীপ পাল।
এ দিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না-পারলে কেবল ব্যয়ই বাড়ে না, মানুষও হতাশ হয়ে পড়েন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের কাজে গতি আনতে চান। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু ও শেষ করতে চান। সকলে মিলেই এ কাজে নামতে হবে। সরকারি অফিসারদের সহযোগিতা ছাড়া এ কাজ সম্ভব নয়।” নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জেলায় পিএল অ্যাকাউন্টে ৫৩ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। তাঁর দফতরের ৩৬১টি প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। সরকারি নথিতে বেশ কিছু প্রকল্পের পাশে লেখা রয়েছে ‘এনওয়াইএস’। যার অর্থ ‘নট ইয়েট স্টার্টেড’।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “প্রথমে আমি তো ভেবেছিলাম এনওয়াই এস বোধহয় কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম। পরে আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে যাই। ঠিক করেছি, যে কাজ শুরু করা যায় সেটি আদৌ প্রয়োজনীয় কি না খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সেগুলি বাতিল করা হবে।” উত্তরবঙ্গের ৫৪ জন বিডিওকে নিয়ে তিনি পৃথক ভাবে বৈঠক করবেন বলেও এদিন জানান। জলপাইগুড়ি ছাড়া শিলিগুড়ি এবং মালদহে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের দফতর হবে বলেও জানান। শিলিগুড়িতে বিশ্বদীপ সিনেমা হলের পাশে একটি ভবনে উন্নয়ন পর্ষদের দফতর দিন পনেরোর মধ্যে চালু করা হবে বলে তিনি জানান। এদিন ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে দ্রুত মিনি সচিবালয় চালুর আর্জি জানানো হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, ফুলবাড়িতে এনএইচপিসি দফতরের পাশে মিনি সচিবালয় তৈরি করা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে মালদহ ছাড়া উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে ৮০ জনের বেশি অফিসার এই সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উত্তরবঙ্গ কমিটির সভাপতি ডন বসকো লেপচা, সম্পাদক অমলকৃষ্ণ রায়, সুনীল অগ্রবাল-সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.