পাথর ভাঙার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হিড়বাঁধ থানার বাতিকড়া গ্রামে শনিবারের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পশুপতি সিংহ সর্দার (৪৫)। খুন করার অভিযোগে পুলিশ তাঁর স্ত্রী পুষ্প সিংহ সর্দারকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিন মজুর পশুপতির সঙ্গে পুষ্পর বিয়ে হয়েছিল ২২ বছর আগে। তাঁদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সাংসারিক অশান্তির জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের এক ভাইপো মিহির সিংহ সর্দার বলেন, “কাকা-কাকিমার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। শুক্রবার রাতেও তাঁদের মধ্যে অশান্তি বাধে।” তিনি জানান, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ মিটার দূরে একটি নলকূপের সামনে তাঁর কাকার মাথা থ্যাঁতলানো রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে দেহটি উদ্ধার করে। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি পুলিশের কাছে কাকিমার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, “সাংসারিক অশান্তির জেরেই শনিবার ভোরে ঘুমন্ত কাকার মাথায় পাথর ভাঙার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে কাকিমা খুন করেছিল।”
এসডিপিও (খাতড়া) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “স্বামীকে খুন করার অভিযোগ পুষ্প সিংহ সর্দার নামের ওই বধূটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” পুলিশের দাবি, জেরায় পুষ্প জানিয়েছেন, নানা ঘটনা নিয়ে সাংসারিক অশান্তি লেগেই ছিল। শুক্রবার রাতে তা চরমে ওঠে। খাওয়া-দাওয়া সেরে তাঁরা শুয়ে পড়েছিলেন। মাঝ রাতে বাড়িতে রাখা পাথর ভাঙার হাতুড়ি তুলে নিয়ে ঘুমন্ত পশুপতির মাথায় আঘাত করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরে পশুপতির দেহ বাড়ির বাইরে টেনে নিয়ে যান।
তাঁদের বড় ছেলে বছর কুড়ির কাঞ্চন সে রাতে বাড়িতে ছিলেন না। তিনি জানান, তাঁর বাবা, মা ও সে পাথর ভাঙার কলে কাজ করেন। প্রায় দিন তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তাঁর আক্ষেপ, “সামান্য ঝগড়ার জন্য মা বাবাকে খুন করবে, ভাবতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, পশুপতির বাড়ি থেকে পাথর ভাঙার ওই হাতুড়িটি আটক করা হয়েছে। |