শিক্ষক-খুনের তদন্তে নেমে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। ধৃত হিরালাল কুইরির বাড়ি ওই থানা এলাকার সস গ্রামে। পুলিশের দাবি, শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হিরালালকে গ্রেফতার করা হয় গ্রামের কাছাকাছি এলাকা থেকে।
শুক্রবার রাতে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলি করে খুন করা হয়েছিল বাঘমুণ্ডির গাগি গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় স্থানীয় বিদরি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তারাচাঁদ সিংহবাবুকে। ওই সময় তিনি সেরেংডি গ্রাম থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর মাথায় ও পিঠে গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। আততায়ীরা নিহত শিক্ষকের মোটরবাইক নিয়েই পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত হিরালালের কাছ থেকে ওই চোরাই মোটরবাইক, একটি মোবাইল ফোন এবং একটি দেশি রিভলভার উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে জেরার মুখে ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছেন, সেরেংডি গ্রামে একটি মদের ঠেকে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তারাপদবাবুর সঙ্গে বচলা বাধে। এর পরেই বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে খুন করা হয়। কোন বিষয়কে ঘিরে কাদের সঙ্গে নিহত শিক্ষকের বচসা বেধেছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
ঘটনাস্থলটি বাঘমুণ্ডি থানা এলাকা হলেও একেবারে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া। তাই খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার চাণ্ডিল, নিমডি, তিরুনডি, চৌকা প্রভৃতি থানার সাহায্য নেয়। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত হিরালাল এর আগে পড়শি রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ডাকাতির চেষ্টা-সহ নানা ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত। গত জুলাই মাসে সে জামশেদপুর জেল থেকে ছাড়া পায়। পুলিশের দাবি, সম্প্রতি জামশেদপুরের একটি ‘সুপারি-কিলার’ দলের সঙ্গেও যোগাযোগ গড়ে ওঠে হিরালালের। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতকে রবিবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিক্ষক-হত্যা সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে বলে আমাদের ধারণা। |