নানুরে সিপিএম কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল
খুজুটিপাড়ায় অগ্নিদগ্ধ কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র
মূলত সুচপুর গণহত্যাকে সামনে রেখে সহানুভূতির হাওয়া পালে লাগিয়ে নানুরে তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করে। বিভিন্ন সময়ে নানুরের বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে পারলেও তৃণমূল নওয়ানগরকড্ডা পঞ্চায়েত এলাকা বিশেষ করে খুজুটি পাড়া ছিল সিপিএমের ‘শক্তঘাঁটি’। দলের প্রভাবশালী নেতা নিত্যনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি খুজুটিপাড়া গ্রামে। খুজুটিপাড়ায় পার্টি অফিস থেকে নিত্যবাবুর নেতৃত্বেই নানুরের বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিচালিত হত।
কিন্তু হাওয়া ঘুরতে শুরু করে ২০১০-এর নভেম্বর মাস থেকে। ওই সময় সুচপুর গণহত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে নিত্যবাবু-সহ ৪৪ জন নেতাকর্মী জেলে। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নানুর কেন্দ্রটিও সিপিএমের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। নির্বাচনের পরেই সিপিএমের খুজুটিপাড়া কার্যালয়ে হামলা ও কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে ওই কার্যালয়ে তালাবন্ধ ছিল। শনিবার ওই কার্যালয়েই আগুন লাগে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য সমীর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকা দখলের জন্য পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওদের ভয়ে মাস খানেক ধরে ওই অফিস খুলতে পারিনি। রবিবার কীর্ণাহারে জোনাল সম্মেলন হয়েছে। ওই সম্মেলনে কর্মীরা যাতে যোগ দিতে না পারেন সেই জন্য ওরা পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। গুরুত্বপূর্ণ নথি ও আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অঢ়োক ঘোষ বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের প্রভাব বাড়ছে। সেই জন্য সহানুভূতির হাওয়ায় হারানো জমি ফিরে পেতে নিজেদের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আমাদের ঘাড়ে মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.