বিপদের সময়ে বাংলার অধিনায়কত্ব নিতে সম্মত হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন পর। রঞ্জিতে আগামী দু’টো ম্যাচে বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। হরিয়ানার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে। এবং ঘরে ফিরেই তামিলনাড়ুর বিপক্ষে।
প্রায় এক দশক পর বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন সৌরভ। মাঝে বাংলার হয়ে রঞ্জি ফাইনাল খেলতে নেমেছেন। কিন্তু সেই ম্যাচেও নেতৃত্ব দেননি। এ বারের পরিস্থিতি অন্য। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হচ্ছে। বাংলার পরের দু’টো ম্যাচে তিনি নেই। সহ-অধিনায়ক ঋ
দ্ধিমান সাহা অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য মনোনিবেশ করবেন বলে নেতৃত্বের চাপ নিতে চাননি। এই অবস্থায় শনিবার সকালে সিএবি কর্তারা তড়িঘড়ি যোগাযোগ করেন সৌরভের সঙ্গে। অনুরোধ করেন, আগামী দু’টো ম্যাচে বাংলার অধিনায়ক হতে। সিএবি-র ডাকে সাড়া দেন সৌরভ।
|
এবং অধিনায়কত্বকে তিনি যথেষ্ট গুরুত্বও দিচ্ছেন। এ দিন সন্ধেয় একটি অনুষ্ঠানে সৌরভ বলে দেন, “ব্যাপারটাকে আমি যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। হরিয়ানা এবং তামিলনাড়ু, দু’টো ম্যাচই আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়াস ক্রিকেট খেলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এই টিমটায় যথেষ্ট প্রতিভা আছে।”
এরই মধ্যেই অবশ্য দল নির্বাচন নিয়ে একদফা নাটক হয়ে গেল এ দিন। মনোজের জায়গায় হরিয়ানা কে যাবেন, তা নিয়ে। সিএবি যুগ্ম সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, মনোজের পরিবর্ত হয় না। তাই কেউ যাবে না! চোদ্দো জনের টিম যাবে হরিয়ানা। অথচ বোর্ড থেকে টাকা দেওয়া হয় পনেরো জনের। এ দিন দুপুর পর্যন্তও সেটাই ঠিক ছিল। কিন্তু তার পর সিএবি-র নানা মহল থেকে চাপ আসতে থাকায় ঘুরে যায় সিদ্ধান্ত। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হয়, পনেরো জনেরই টিম যাবে। দলে ঢুকে পড়েন অনূর্ধ্ব-২২-এ নিয়মিত রান পাওয়া জয়জিৎ বসু। কিন্তু এই টালবাহানার মানে কী? সুজন বলছেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম মনোজের পরিবর্ত বাছা নিয়ে আর ঝামেলার মধ্যে যাব না। কিন্তু জয়জিৎ নিয়মিত রান পাচ্ছে। তাই নেওয়া হল।” মঙ্গলবার থেকে হরিয়ানা ম্যাচ। রোহতাকে। টিম শহর ছাড়ছে রবিবার সৌরভ যাচ্ছেন পর দিন, সোমবার। |