বাঁ দিকের ফুসফুসে ‘নন-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার’ হওয়ার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন যুবরাজ সিংহ। যুবরাজের মা শবনম আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বায়োপসি রিপোর্ট অনুযায়ী টিউমারটি ‘ক্যানসারাস’ নয়। শবনম বলেছেন, “প্রাথমিক ভাবে ব্যাপারটা খুব গুরুতর মনে হয়েছিল। চিকিৎসকরা আমাদের সব রকম পরীক্ষা করাতে বলেন। ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর স্ক্যান, বায়োপসি সব কিছু হয় যুবরাজের। এবং রিপোর্ট বলছে, টিউমারটি নন-ম্যালিগন্যান্ট, ভয়ের কিছু নেই। ওষুধেই সেরে যাবে। যুবরাজ এখন সুস্থ হওয়ার পথে।”
|
যুবরাজের রোগটা কতটা গুরুতর? কলকাতার বিশিষ্ট চেস্ট স্পেশালিস্ট ডা.পার্থসারথি ভট্টাচার্যকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “চিকিৎসক হিসাবে বিস্তারিত রিপোর্ট না দেখে জোর দিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। যতটুকু শুনছি, ওর ফুসফুসে গল্ফ বলের আকারের টিউমারের মতো কিছু হয়েছে। রিপোর্টও বলছে কোনও ম্যালিগন্যান্সি বা ক্যানসারের লক্ষণ নেই। এটুকু থেকে এই টিউমারের মতো জিনিসটির চরিত্র স্পষ্ট হচ্ছে না। তবু যা বলা হয়েছে তার ভিত্তিতে মনে হয়, যুবরাজের খুব সম্ভবত একটা জিনিস হয়ে থাকতে পারে যাকে আমরা চিকিৎসার পরিভাষায় ‘সলিটারি পালমোনারি নোডিউল’ বা সংক্ষেপে এসপিএন বলে থাকি।”
তা হলে যুবরাজকে কবে আবার ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে? ডা. ভট্টাচার্য বলছেন, “রোগীকে এবং রোগীর রিপোর্ট না দেখে সে ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে রিপোর্ট তো বলছে ম্যালিগন্যান্সি পাওয়া যায়নি। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা করাতে করাতেও কিন্তু যুবরাজের অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া বা খেলায় অসুবিধা না-ও হতে পারে।” কী ভাবে চিকিৎসা চলতে পারে? ডা. ভট্টাচার্যের মতে, “যুবরাজের ওই এসপিএন যদি ক্যানসারাস না হয় এবং সেটা শুধু মাত্র ফুসফুসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তা হলে সেই এসপিএন ওষুধে সেরে যেতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার জরুরি হয়ে পড়ে।”
|
সবার ভালবাসা আর সমর্থন পেয়ে আমি অভিভূত। একদম ঠিক আছি। ম্যাচ ফিটনেস আর ট্রেনিংয়ের মধ্যে ফিরতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরব....
|
যুবরাজ সিংহের টুইট |
|