দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁকে বরাবর সরব হতে দেখা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। অণ্ণা শিবিরের পরিচিত মুখ এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কিরণ বেদীর বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং বিদেশি অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কী বলছেন কিরণ? উত্তরে কিরণ বললেন, “শুনেছি আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। কিছুতেই এখন অবাক হই না। এতে আমার লড়াই করার শক্তি আরও বেড়ে যায়।”
বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে কিরণ বেদী আধা সামরিক বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের নানা শাখার কাছ থেকে টাকা ‘লুঠ’ করেছেন দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন দিল্লির আইনজীবী দেবেন্দ্র সিংহ চৌহান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখাকে কিরণ বেদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট অমিত বনশল।
দেবেন্দ্র অভিযোগে জানিয়েছেন, কিরণ বেদীর ট্রাস্ট ‘ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশন’ অন্তত ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা অনুদান পেয়েছে বিল গেট্সের সংস্থা ‘মাইক্রোসফট’-এর কাছ থেকে। বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ-এর কর্মীদের ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য ওই টাকা কিরণকে দেওয়া হয়েছিল বলে দেবেন্দ্রর দাবি। সেই টাকা থেকে কিরণ নিজে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। দেবেন্দ্র বলছেন, “বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া বা কম্পিউটার বিতরণের বদলে কিরণ কয়েক জনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বেদান্ত ফাউন্ডেশন নামে সংস্থাকেও ঠকিয়েছেন। প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছ থেকে তিনি মাসে ২০ হাজার টাকা পেতেন।” টাকা আত্মসাতের জন্য তিনি বেদান্ত ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অনুদান চুক্তিও সই করেছিলেন বলে জানাচ্ছেন দেবেন্দ্র। বেদীর দু’টি ট্রাস্টকে টাকা দিত বেদান্ত। ওই ২০ হাজারের মধ্যে ৬ হাজার টাকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জমি ও বিদ্যুতের খরচ বাবদ কিরণ পেতেন। অথচ জমি, বিদ্যুতের খরচ পুলিশের কোনও একটি শাখাই মেটাত বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন দেবেন্দ্র। সব মিলিয়ে কিরণ যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন, তা এনফোর্সমেন্ট দফতরের নজরে আনার জন্য তিনি অভিযোগ করেছেন বলে জানান দেবেন্দ্র। |