বাবা-মা কোথায়? জঙ্গিরা মেরে ফেলেছে। বাবা-মা এখন ওই আকাশটার কোথাও লুকিয়ে আছে। সব, স-ব জানে চার বছরের মোশে। বাবা-মায়ের ছবিটা দু’হাতে আঁকড়ে কচি ঠোঁটে চুমু দেয় ও। সকালে উঠে ছবিটার দিকে চেয়ে বলে ‘‘গুড মর্নিং ইমা, গুড মর্নিং আব্বা”। রাতেও ইমা-আব্বাকে ‘গুড নাইট’ করে তবে ও ঘুমোয়।
মুম্বই থেকে অনেক দূর ইজরায়েলের আফুলা। সেখানে শিমন আর ইয়েহুদিত রোজেনবার্গ আগলে রেখেছেন বাপ-
|
ছোট্ট মোশে। তখন। নিজস্ব চিত্র |
মা মরা নাতি মোশেকে। আর আছেন সান্দ্রা স্যামুয়েল মোশের দাই-মা (ন্যানি)। তিন বছর আগে এক অভিশপ্ত দিনে একরত্তি মোশেকে বুকে জড়িয়ে জঙ্গিদের চোখ এড়িয়ে নরিম্যান হাউস থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। ঘিঞ্জি গলির আকাশ-বাতাস তখন গুলি-গ্রেনেডের কানফাটানো আওয়াজ আর বারুদগন্ধে ভারী। সঙ্গে ছিলেন পাচক কাজী জাকির হুসেন।
২৬ নভেম্বর, ২০০৮। সেই দিনই কোনও এক সময়ে জঙ্গিদের বুলেটে শেষ হয়ে যান পণবন্দি রাবাই গ্যাব্রিয়েল হোল্টসবার্গ এবং তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রিভিকা মোশের বাবা-মা। ওইটুকু বাচ্চা কী করে বোঝে কোথাকার কোন জঙ্গিরা এসে তার বাবা-মাকে মেরেছে? দাদু শিমন বলেন, “ছেলেটা খুব বুদ্ধিমান, হাসিখুশি। স্কুলে যায় রোজ। ও জানে বাবা-মা আকাশে আছে। ও তো বলে, বাবা-মাকে জঙ্গিরা মেরে ফেলেছিল।” হঠাৎ হঠাৎ সান্দ্রার রাগ হয় খুব। মন খারাপও হয়। বলেন, “সে দিন আমি বেরিয়ে এসেছিলাম, ওঁরা বেরোলেন না। আরও অনেক কিছু করতে পারতাম। পারলাম না। আমারই ভীরুতা!” |