|
|
|
|
মন্ত্রীর আবেদনে সাড়া |
চা-অবরোধ তুলে নিল পরিষদ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের আর্জিতে সাড়া দিয়ে ১২ দিন পরে তরাই-ডুয়ার্সের বাগানের চা অবরোধ তুলে নিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। এতদিন পরিষদ মজুরি বৃদ্ধির দাবি না-মানা পর্যন্ত বাগান থেকে চা পাতা বাইরে যেতে দেয়নি। সম্প্রতি পরিষদের নেতাদের ডেকে অবরোধ তুলে আলোচনায় সমস্যা মেটানোর অনুরোধ করেন গৌতমবাবু। তার পরেই অবরোধ ওঠে। বুধবার বাগান কর্তৃপক্ষ নিলাম কেন্দ্রে চা পাঠাতে শুরু করেছে। গত ৫-১৬ অগষ্ট বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বাগান থেকে চা পাতা বাইরে বের করার ক্ষেত্রে অবরোধ করে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। বুধবার তারা সেই অবরোধ তুলে দেন। টানা ১২ দিন বাগান গুলিতে চা জমে থাকায় তা উপচে পড়েছে। তার উপর অসমের চায়ের ব্যাপক উৎপাদনের ফলে বাজারে চায়ের দাম অনেকটা নেমে গিয়েছে। ডুয়ার্স ও তরাইয়ের চা যে হারে নিলাম কেন্দ্রে যাচ্ছে তাতে আগামী শুক্রবার শিলিগুড়িতে নিলামের দিন কেমন দাম মেলে সেই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন চা বাগান মালিকরা। কত পরিমাণ চা এ বার নিলামে উঠবে তা বৃহস্পতিবার স্পষ্ট হবে বলে মালিকরা জানিয়েছেন। মালিকদের আশঙ্কা, যে পরিমাণ চা এবার নিলাম হবে তা কেনার মতো ক্রেতা না থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে। ১৩৫ টাকা থেকে ৩ মাসে চায়ের দাম ১০৯ টাকা কেজিতে নেমেছে। মালিকদের দুই সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের ডুয়ার্স শাখার সচিব প্রবীর ভট্টাচার্য ও ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “নিলামে চা কী দরে বিক্রি হবে তা বুঝতে পারছি না। চা উৎপাদনের ভরা মরসুমে প্রতিটি চা বাগানে প্রচুর চা তৈরি হয়েছে।” এদিকে রাজ্য সরকার এখনও শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে পরবর্তী দিনক্ষণ ঠিক করতে পারেনি। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “কবে ফের বসা হবে তা খুব শীঘ্র আমরা জানিয়ে দেব। তবে এই মুহুর্তে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। উভয়পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে বেতন কাঠামো যাতে ঠিক হয় সেই আবেদন করছি। বন্ধ বা অবরোধ যাতে না করা হয় তা সমস্ত ইউনিয়নকে অনুরোধ করছি।” এদিকে এ মুহুর্তে ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটছে না চা শ্রমিকদের যৌথ সমিতি কো অর্ডিনেশন কমিটি। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে বৈঠক করে আপাতত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা। আগামী ২৭ আগষ্ট চা শিল্পের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি তৈরি করা হবে বলে নেতারা জানিয়েছেন। আরএসপি চা শ্রমিক নেতা গোপাল প্রধান ও সিটুর চা শ্রমিক নেতা জিয়াউল আলম বলেন, “চা শিল্পের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাইকে ডেকে বৈঠক করব। সেখানে ঠিক হবে আগামী দিনের কর্মসূচি। ডিফেন্স কমিটিকে সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। ডিফেন্স কমিটির আহ্বায়ক সমীর রায় বলেন, “সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরাও বৈঠক করব। কো অর্ডিনেশন কমিটির কনভেনশনে যোগ দেওয়া নিয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।” |
|
|
|
|
|