|
|
|
|
অন্তঃসত্ত্বা বধূকে মারধর, ইন্দাসে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে এক সিপিএম নেতার সাত মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইন্দাস থানার চাঁদ গ্রামের ঘটনা। বুধবার সকালে চাঁদ গ্রামের বাসিন্দা, সিপিএমের দিঘলগ্রাম লোকাল কমিটির সদস্য শেখ সিরাজের স্ত্রী, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মুসিনা বেগমকে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুসিমাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাটি পারিবারিক বিবাদের ঘটনা বলে দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকেল পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
শেখ সিরাজের অভিযোগ, “ডাক্তার দেখানোর জন্য সকালে স্ত্রীকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলাম। আমি আগে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছই। স্ত্রী মুসিনা বেশ কিছুুটা পিছনে ছিল। রাস্তায় ওকে একা পেয়ে তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা কিল, চড় মারে। আমাকে না পেয়ে ওরা আমার সাত মাসের স্ত্রী’কে মারধর করল।” তিনি জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করার পরে মুসিনাকে প্রথমে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাসের অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে দীর্ঘ দিন গ্রাম ছাড়া ছিলেন আমাদের দলের দিঘলগ্রাম লোকাল কমিটির সদস্য শেখ সিরাজ। সোমবার তিনি গ্রামে ফেরেন। এর পরেই তাঁর স্ত্রী’র ওপর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালাল।” পরে সিরাজ থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান অসীমবাবু। অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, “মুসিনা বেগমকে মারধর করা হয়নি। কর্দমাক্ত রাস্তায় পা পিছলে পড়ে গিয়ে তিনি চোট পেয়েছেন।” যদিও তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের দাবি, “শেখ সিরাজের স্ত্রী পারিবারিক বিবাদের জেরে মার খেয়েছেন বলে শুনেছি। তাঁর অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাঁদ গ্রামে সিপিএম নেতা শেখ সিরাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল। ওই গ্রামে আমাদের বহু কর্মী-সমর্থককে তখন ওরা মারধর করেছিল। এখন পারিবারিক গণ্ডগোলের ঘটনাকেও ওরা রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।” জেলার এর পদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|