|
|
|
|
শাসনে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে হাতাহাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিপিএম-তৃণমূল নয়, শাসনে এ বার মারপিট হল তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যেই। একটি দোকানে হামলার অভিযোগ জানাতে গিয়ে বুধবার দুপুরে থানার সামনে নিজের দলেরই নেতার হাতে আক্রান্ত হলেন শাসনের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ আমিনউদ্দিন। এই ঘটনায় তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ সফিকুলের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। অভিযোগ, শাসনের খামার গ্রামে মির ইসলাম ভার নামে এক ব্যক্তির দোকানে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে সফিকুল। মিরের বৃদ্ধ বাবাকে গালিগালাজ ও হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। মির এ দিন বলেন, “তখন সবে রোজা শেষ করে ইফতার শুরু হয়েছে। সেই সময় হঠাৎ কয়েক জনকে নিয়ে দোকানে ঢুকেই তাণ্ডব শুরু করে সফিকুল। আমি বলি, আমার অপরাধটা কী। তাতে ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অকথ্য গালাগাল, ধাক্কাধাক্কি করতে করতে নিজেরাই শাটার টেনে দোকান বন্ধ করে দেয়।” এত দিন শাসনে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘাত চলছিল। কিন্তু এ বার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলেন। বুধবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ আমিনউদ্দিনের সঙ্গে আমিনপুর তদন্ত কেন্দ্রে ঘটনারই অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন মির। সঙ্গে ছিলেন ভাই বাবুল ভার ও দোকানের কমর্ীর্ মামুদ আলি। সেই সময়েই ওই চার জনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আমিনউদ্দিন বলেন, “মিরদের মারধর করছে দেখে আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে। সফিকুল খামার গ্রামে গাছ কাটা, ভেড়ির টাকা আত্মসাৎ করছে। এ সব নিয়ে ওর বিরুদ্ধে অনেকেই ক্ষিপ্ত।” এ দিকে, এই ঘটনার পরে থানায় যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের বারাসত ২ নম্বর ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন, “আমিনউদ্দিনকে মারধর করা হয়েছে। আমরা ঘটনা শুনে পরে হস্তক্ষেপ করি। সফিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে দলের আলোচনা চলছে।” |
|
|
|
|
|