|
|
|
|
মাঠে জল, বন্ধ নবদ্বীপের লিগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
জলে ধুয়ে গেল নবদ্বীপের ফুটবল লিগ। অগস্টের প্রথম থেকে একটানা প্রবল বৃষ্টির জেরে নবদ্বীপ পুরসভার বিভিন্ন এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। গঙ্গার জলস্তর বাড়তে বাড়তে চরম বিপদসীমাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই জল এখনও বেরোয়নি মাঠ-ময়দান থেকে। তাতেই চৌপাট লিগের খেলাও। নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক দেবাশিস সাহা বলেন, “প্রায় সব ক’টি মাঠেই এখন জল। এই অবস্থায় ফুটবল লিগ স্থগিত রাখা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আবহাওয়ার পরিবর্তন হোক। মাঠগুলো শুকোক। তারপরে আমরা মাঠগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখে কবে কোন খেলা শুরু হবে, তার সিদ্ধান্ত নেব।”
নবদ্বীপ শহরে দশ-বারোটি ফুটবল মাঠ থাকলেও চলতি মরসুমের লিগের জন্য গোটা চারেক মাঠ নেওয়া হয়েছিল। এগুলির মধ্যে গঙ্গার তীর লাগোয়া কর্মমন্দিরের মাঠ এখন যেন ‘সুইমিং পুল’। নির্ভিক সমিতির মাঠেও যে ভাবে জল জমে রয়েছে, তাতে খেলা শুরু হওয়া শক্ত। জল রয়েছে অ্যাথলেটিক ক্লাব বা রয়েল ক্লাবের মাঠেও। এক মাত্র শহরের দক্ষিণ প্রান্তের নদিয়া ক্লাবের মাঠেই সে ভাবে জল জমেনি। নদিয়া ক্লাবের সম্পাদক গোবিন্দ বাগ বলেন, “আমাদের মাঠটা উঁচু। জল নেমে যায় তাড়াতাড়ি। কিন্তু যে ভাবে নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ম্যাচের দিন দুপুরে ভাল বৃষ্টি হলে, খেলা সম্ভব নয়।” সাব জুনিয়র লিগ শেষ হয়ে গিয়েছে, জুনিয়র লিগের প্রাথমিক পর্বও শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরে কথা ছিল সুপার লিগ শুরু হওয়ার। ১৭ অগস্ট ছিল দ্বিতীয় ডিভিশন এবং ১৮ অগস্ট ছিল প্রথম ডিভিশন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু জলে ভেসে গিয়েছে সে সবই। স্থানীয় রেফারি বোর্ডের সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “কিন্তু মাঠ ও নবদ্বীপের যা পরিস্থিতি তাতে সূচি অনুযায়ী খেলা শুরু করা যাবে না।”
অনেক ক্লাব জানাচ্ছে, তাদের অনেক খেলোয়াড়ের বাড়ি ঘরদোরও গঙ্গা উপছানো জলে ভরে রয়েছে। এই অবস্থায় মাঠে আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে দল তৈরি করাই শক্ত। নবদ্বীপ মাঠের কোচ তথা খেলোয়াড় মনোজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মায়াপুর, স্বরূপগঞ্জের অনেকে ছেলে আমাদের মাঠে খেলতে আসে। তাদের বাড়িতে তো জল। তারা এখন আসবে কী করে। কিন্তু সব মিলিয়ে ৩৫টিরও বেশি ম্যাচ বাকি রয়ে গিয়েছে। একটা মাঠে এত ম্যাচ করলে, মাঠের আর কিছু থাকবে না।” |
|
|
|
|
|