মহমেডান সেই পিছনের সারিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কালীঘাট মিলন সঙঘ ৩ (কৃশানু, বুচি-২)
মহমেডান ২ (বিকাশ, গৌতম) |
দেড় বছরে তিনটে কোচ বদল হলেও পরিবর্তনের কোনও ছাপ নেই মহমেডানে। এখনও তারা পড়ে সেই তিমিরেই। সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী দেখিয়ে ঘরোয়া, জৌলুসহীন টুর্নামেন্টেও মহামেডান কোনওমতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে পিছনের সারিতে। কোনওরকমে মেরেকেটে দুই নম্বরে। |
|
হাসিখুশি: বুধবার কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের ফুটবলাররা। -নিজস্ব চিত্র |
জল-কাদায় বেহাল অবস্থা মাঠের। বল নড়ছে না। ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারছেন না ফুটবলাররা। তা সত্ত্বেও কালীঘাটের ফুটবলাররা দেখিয়ে দিলেন ধৈর্য, লক্ষ্য এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই ম্যাচ জেতা যায়। ৫২ মিনিটের মধ্যেই কৃশানু দাস এবং বুচির জোড়া গোলে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ ৩-০ এগিয়ে যায়। নব্বই মিনিটে হাতে গোণা সুযোগ বলতে বড়জোর গোটা পাঁচেক। কিন্তু তাতেও তিনটে নিখুঁত গোল করে গেল কালীঘাট। আর মহমেডান এক ঝাঁক সুযোগ পেয়েও ম্যাচের ৭৫ মিনিটে এসে প্রথম গোল পেল বিকাশ নার্জিনারির সৌজন্যে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে গোলের ব্যবধান আরও কমিয়ে একটা ক্ষীণ আশা জাগিয়েছিলেন গৌতম কুজুর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সুরয মণ্ডলদের বদান্যতায় ঢাকা পড়ে গেল গ্যালারির হাজার হাজার সাদা-কালো সমর্থকদের চিৎকার।
মহমেডানের নতুন কোচ অলোক মুখোপাধ্যায় মেনে নিচ্ছেন প্রস্তুতির অভাবেই ডুবতে হল তাঁকে। ম্যাচের পর তাঁর আক্ষেপ, “মাত্র চার দিনের অনুশীলনে কি আর ট্রফি জেতা যায়? একটাও বিদেশি নেই আমার হাতে। এই কাদা মাঠে হ্যানউক খেলতে পারছে না। আজিম, রাহুল কুমার নেই। আমি এয়ারলাইন্স কাপে খেলতেই চাইনি। কিন্তু সব কিছু তো আর আমার হাতে নেই।” উল্টো দিকে মরসুমের শুরুতেই ট্রফি জিতে দারুণ খুশি কালীঘাট কোচ অরুণ ঘোষ। বলছিলেন, “গত দু’বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগে মহমেডানকে হারিয়ে আসছি। বাড়তি আত্মবিশ্বাস তো ছিলই। তবে মহমেডান ভাল দল। তাই ছেলেদের মধ্যে আত্মতুষ্টি ছিল না।” আই লিগে খেলার যোগ্যতা নেই। প্রিমিয়ার লিগেও প্রথম তিনে জায়গা হচ্ছে না। এয়ারলাইন্স কাপের মতো টুর্নামেন্টেও ট্রফির বেলায় লবডঙ্কা। তা হলে কি আস্তে আস্তে ময়দান থেকেও মুছে যাবে মহমেডান? এই দুঃস্বপ্ন কিন্তু মহমেডান সমর্থকরা দেখতে শুরু করে দিয়েছেন! |
|