ধরা যাক মনোজের নম্বর সাত, লক্ষ্মীর আট, ঋদ্ধির পনেরো! এই ভাবেই বাংলার আগামী ক্রিকেট মরসুম থেকে পরিচিত হবেন ময়দানের সব ক্রিকেটার। হঠাৎ ক্রিকেটারদের নামের পাশে নম্বর কেন? এফবিআই বা কেজিবি-র কোড নম্বর নয়, এ হল গিয়ে অনলাইন দলবদলের সুবিধার্থে করা। যা চালু হতে চলেছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। সিএবি-র ইতিহাসে অনলাইন দলবদল এই প্রথম। এতেই শেষ নয়। নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু না করতে পারলে কী হবে, ই-যুগে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাইছে সিএবি। তাই অনলাইন দলবদলের পাশাপাশি শুরু হতে চলেছে ‘অনলাইন স্কোরিং’। বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করা ৫২ জনকে এ জন্য বাছা হয়েছে। স্থানীয় ক্রিকেটের ম্যাচের স্কোর পেতে এখন আর অসুবিধে হবে না বলে দাবি করছেন সিএবি যুগ্মসচিব বিশ্বরূপ দে। “একটা ক্লিক করলেই ম্যাচের ফলাফল যাতে পাওয়া যায় সেটা দেখা হচ্ছে,” এ দিন বললেন তিনি। স্থানীয় ক্রিকেটে বিতর্ক এড়াতে এই প্রথম লিগ বা নকআউটে নিয়ম করা হচ্ছে ম্যাচ রেফারি নিয়োগের। সব ম্যাচে ম্যাচ রেফারি নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো বা বিশেষজ্ঞ নেই। আপাতত ঠিক হয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং অবনমনের ম্যাচে রেফারি থাকবে। এ জন্য প্রাথমিক ভাবে বাছা হল পনেরো জনকে। যাঁরা বাংলা থেকে অবসরপ্রাপ্ত বোর্ড নিযুক্ত আম্পায়ার এবং স্থানীয় ক্রিকেটের ‘গ্রেড ওয়ান’ আম্পায়ার। এঁদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকছেন রাজু মুখোপাধ্যায়। গত বছর সময়ে মরসুম শেষ করতে না পারা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কোনও রকম সংঘাত এড়াতে তাই এ বার চালু হচ্ছে ক্রিকেট ক্যালেন্ডার। যা এ দিন প্রথম ডিভিশন ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে ঠিক করে ফেলল সিএবি। এ বার ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হচ্ছে ১৫ নভেম্বর, এ এন ঘোষ ট্রফি দিয়ে।
|
বিদেশি রেফারি নয়, মেসিদের ম্যাচ খেলাবেন ফিফা তালিকাভুক্ত ভারতীয় রেফারিরা। ফিফার এমনই নির্দেশ। এটা নিয়ে ফিফার কাছে জানতে চেয়েছিল ফেডারেশন। ফিফা থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়, তাতে ম্যাচ কমিশনার গৌতম কর। রেফারি সার্ভিসেসের রোহন। সহকারী গুজরাটের দীনেশ নায়ার ও গোয়ার ফ্র্যাঙ্কি ফার্নান্ডো। চতুর্থ রেফারি সার্ভিসেসের অর্জুননকে। এই ম্যাচটির মাধ্যমে ভারতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কথা ভাবছে ফিফার, তাই ভারতীয়রা দায়িত্বে। কিন্তু বহু বিতর্কিত দুই রেফারি দীনেশ এবং অর্জুনন কেন তালিকায়, তার ব্যাখ্যা অবশ্য দিতে পারছেন না ফেডারেশন কর্তারা।
|
রমেশ সাক্সেনা মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৬৬। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি জীবনের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলেন। টেস্টের দু’ইনিংসে তাঁর রান ১৬ এবং ৯। মাত্র ষোলো বছর বয়সে দিল্লির হয়ে রঞ্জির অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেই সবার নজর কাড়েন। অবসরের পরে পূর্বাঞ্চল থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার দৌলতে বহু দিন খবরের মধ্যেও ছিলেন। |