|
|
|
|
আর্মান্দোর চাকরি নিয়ে টানাটানি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বার্বেডোজের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে অস্বীকার করে জাতীয় দলের কোচ আর্মান্দো কোলাসো তুমুল বিতর্কে। এআইএফএফ কর্তাদের একটা অংশ তাঁর উপরে এতটাই চটেছেন, তাঁকে সরানোর দাবি উঠল বলে। তাঁদের বক্তব্য, কোলাসোর জন্য ভারতীয় ফুটবলের ভাবমূর্তি ধুলোয় লুটিয়েছে ওরেল-সোবার্সের দেশে।
বব হাউটনের মতো কোলাসোর বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি প্রশ্ন, ফেডারেশনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে। এত বড় সফরে ফেডারেশনের তরফে কেন কোনও বড় কর্তাকে পাঠানো হয়নি? যিনি আর্মান্দোকে সামলাবেন!
বার্বেডোজের সঙ্গে খেলার কথা ছিল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় ভোর রাতে। ফিফা অনুমোদিত ম্যাচ এ ভাবে বয়কট করে ফিরে যাওয়ার নজির বেশি নেই। আর্মান্দোর ভারত সেটা করল। আর্মান্দোর অভিযোগ, বার্বেডোজ ফুটবল সংস্থার কর্তারা ঠিকমতো ব্যবস্থা করেননি। ভারতীয়দের আনতে বিমানবন্দরে কেউ যাননি। হোটেলের ব্যবস্থা করতে হয়েছে নিজেদেরই। কথা ছিল, বিমানবন্দরে ভিসা পাওয়া যাবে। তার জন্যও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এ সব দেখে আর্মান্দো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সিদ্ধান্ত নেন, ওখানে কোনও মতেই খেলবেন না।
পরে বার্বেডোজ ফুটবল কর্তারা ক্ষমা চাইলেও আর্মান্দোর রাগ পড়েনি। সে দেশের এক মন্ত্রী হোটেলে দেখা করতে এলেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি আর্মান্দো। এআইএফএফের তরফে দিল্লি থেকে বারবার তাঁকে অনুরোধ করা হয়। এ ভাবে তিনি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, এটা বলা হলে মানতে চাননি আর্মান্দো। বরং তিনি সে সব উপেক্ষা করেন। কোনও ম্যানেজার না থাকায় সহকারী কোচ স্যাভিও মিডেইরাই ম্যানেজার ছিলেন। আর্মান্দো তাঁকে তোয়াক্কা করেননি। পুরো ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ফেডারেশন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, “পরের সভাতেই বিষয়টি তুলব। পুরো ঘটনাটি অখেলোয়াড়োচিত হয়েছে। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।” এ দিকে, সুখবিন্দর সিংহ, তনুময় বসুরা এ দিনই গুরগাওতে অনূর্ধ্ব ২৩ জাতীয় দলকে নিয়ে অনুশীলনে নামলেন। ভাইচুং, রেনেডিরা আছেন। এই সফরে ভারতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট অঙ্কুর দত্ত। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সফরেও কেন ফেডারেশনের বড় কর্তারা কেউ গেলেন না, এই প্রশ্নটা বড় হয়ে গিয়েছে। আর্মান্দোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ফুটবলার নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ আছে। সন্দীপ নন্দী বলেছেন, আর্মান্দো থাকলে শিবিরে যাবেন না। চার্চিলের ডেঞ্জিল ফ্রাঙ্কোও তাই বলেছেন। জুনিয়র ফুটবলারদের তিনি ডেম্পোয় খেলার প্রস্তাব দিয়েছেন, শোনা যাচ্ছে। জাতীয় কোচ হয়েও তিনি নাগাড়ে ‘ডেম্পো’, ‘ডেম্পো’ করেছেন। এর মধ্যেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন। |
|
|
|
|
|