|
|
|
|
ভারত দ্বিতীয় হওয়ারও যোগ্য নয় |
জিওফ্রে বয়কট |
ভাল প্লেয়ার তারা, যারা চিরকাল খেলাটার প্রাথমিক পাঠের প্রতি একনিষ্ঠ থেকে ভাল পারফরম্যান্স করেছে এ কথা বরাবর বলেছি। আর সেটাই অনুসরণ করে ইংল্যান্ড এখন সবার ওপরে। স্ট্রসেরা পুরনো ফ্যাশনের ক্রিকেট খুব ভাল খেলেছে। এবং এটাই ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
কত জন ভারতীয় ক্রিকেটার এই সিরিজে চোট-আঘাতে ভুগেছে বা ওদের ব্যাটসম্যানরা সিমিং উইকেটে কতটা ফর্ম নিয়ে সমস্যায় পড়েছে এ সব নিয়ে যত কথাই হোক না কেন, মোদ্দা ব্যাপার হল ভারতীয় দল ক্রিকেটের প্রাথমিক পাঠটাই গুলিয়ে ফেলেছে। যে যা-ই বলুক, ক্রিকেট এখনও সেই চিরন্তন ব্যাট আর বলের লড়াই। আর যদি কেউ সেটাকে অস্বীকার করে তৈরি না থাকে তো সে ডুববেই ডুববে। লড়াই থেকে ছিটকে পড়বেই। যারা বলছে যে, ভারত তাদের মুকুট অটুট রাখার চাপে পড়ে এই সিরিজে যাচ্ছেতাই খেলছে, তাদের আমি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কিথ মিলারের সেই বিখ্যাত উক্তিটার কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ক্রিকেট খেলাটা মোটেই চাপ নয়।
যা-ই হোক, ভারত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ক্রিকেট দল। তবে এই সিরিজের পারফরম্যান্সের বিচারে ওদের সেটাও প্রাপ্য নয়। ওভালে হারলে সত্যি সত্যিই ওরা আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানও হারাবে। ভারতের বর্তমান ফর্ম অনুযায়ী সেটাই ন্যায্য। ধোনিদের দেখে মনে হচ্ছে, সিরিজের গতিপ্রকৃতির সঙ্গে ভেসে চলেছে, যেন অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য।
আমি যদি ভারতীয় সমর্থক হতাম, এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেতাম ভারতীয় দলের হারের ধরনধারন আর বিশাল বিশাল ব্যবধান দেখে। কেউ প্রতিদিন জিততে পারে না, কিন্তু অন্ততপক্ষে জেতার চেষ্টাটা করে। আমাকে অবাক করেছে, ভারতীয় দল এই সিরিজে এতটাই বেশি অপ্রস্তুত অবস্থায় মাঠে নেমেছে যে, জেতা দূরে থাক, জেতার চেষ্টাটুকুও করতে পারছে না। মাঠে নামলে নিজের দেশের জন্য, নিজের সমর্থকদের জন্য, এমনকী নিজের জন্যও জেতার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে এর কোনওটাই দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং হে ভারত, জাহির বা প্রবীণ কুমারের চোটটোট নিয়ে না কেঁপে গিয়ে বা বীরেন্দ্র সহবাগ ত্রাতা হয়ে উঠবে এই ভরসায় না বসে থেকে এখন বোধহয় সময় এসেছে ভাল ক্রিকেটার তৈরির দিকে সমস্ত নজর দেওয়ার। তারকার পিছনে না দৌড়ে! |
|
|
|
|
|