|
|
|
|
ফের হাড়গোড় উদ্ধার, অভিযুক্ত সেই সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শালবনি |
হাড়গোড় উদ্ধারের বিরাম নেই পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার সকালে শালবনির কাশীজোড়ায় ঝর্নাডাঙ্গার জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে ফের উদ্ধার হল হাড়গোড়, পুরুষ ও মহিলার পোশাক, মশারি, টিনের বাক্স। আর তার পরেই ফের সিপিএমের বিরুদ্ধে তাদের দুই কর্মীকে খুন করে লাশ লোপাটের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও ধারণা, দু’জনের দেহ পোঁতা হয়েছিল ঝর্নাডাঙ্গায়। এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠির বক্তব্য, “তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
শালবনির রাঙামাটিতে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
তৃণমূলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহের দাবি, “লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো ও সুরাই কিস্কু নামে আমাদের দুই কর্মীকে বছর খানেক আগে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী অপহরণ করেছিল। উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় তাঁদেরই।” দলের দুই পুরুষ কর্মীরই যদি দেহাবশেষ হয়ে থাকে, তা হলে মাটি খুঁড়ে মহিলাদের পোশাক মিলল কী ভাবে---সে প্রশ্নের অবশ্য উত্তর দিতে পারেননি নেপালবাবুরা। জুনের গোড়ায় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের আদিবাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। অভিযোগ দায়ের হয় ৪০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে। গ্রেফতার হয়েছেন স্বয়ং সুশান্তবাবুও। সেই শুরু। এর পর কেশপুরের আনন্দপুর, শালবনির সাতেরবাঁধ থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে। আর বারে বারেই গুমখুনের অভিযোগ উঠে এসেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, ঝর্নাডাঙ্গার জঙ্গলে মৃতদেহ পোঁতা থাকতে পারে বলে ক’দিন আগে স্থানীয় কয়েক জন মহিলা তাদের খবর দেন। শাল-জঙ্গলে ওই মহিলারা রোজ পাতা কুড়োতে যান। তাঁদেরই কয়েক জন লক্ষ করেন, জঙ্গলের মধ্যে কবরের মতো মাটির ঢিবি রয়েছে। তাঁদের সন্দেহ হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিষয়টি জানান ওই মহিলারা। তৃণমূল নেতৃত্ব জানান পুলিশে। বুধবার সকালে অবশ্য তৃণমূল সমর্থকরাই প্রথমে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন। পরে আসে পুলিশ। দু’জায়গার দু’টি ঢিবিতে মাটি খুঁড়তেই মাথার খুলি-সহ হাড়গোড় এবং পোশাক-আশাক মেলে। এর পরেই দেহ দু’টি লক্ষ্মীকান্ত ও সুরাইয়ের বলে দাবি তোলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। লক্ষ্মীকান্ত’র বাড়ি লালগেড়িয়ার মিয়াঁপাড়ায়। সুরাই কিস্কু’র বাড়ি দেউলকুন্ডায়। তৃণমূলের দাবি, দলের এই দুই ‘নিখোঁজ’ কর্মীর আত্মীয়রাই দেহাবশেষ দু’টি প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করেছেন। |
|
|
|
|
|