|
|
|
|
অণ্ণার পিছনে মার্কিন মদত, বলছে কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভারতের উন্নয়নে চোখ টাটিয়েছে। তাই অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে অণ্ণা হজারের আন্দোলনে মদত ও রসদ জোগাচ্ছে আমেরিকা। সিপিএম নয়, ফাঁপরে পড়ে আজ এই অভিযোগ করল খোদ কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রশিদ অলভি আজ বলেন, ক’দিন আগেই মার্কিন প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে অণ্ণার আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়েছিল। তার পর থেকেই এই সংশয় তৈরি হয়েছে। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিকে রুখতেই আমেরিকার এই ‘ষড়যন্ত্র’। না হলে অণ্ণার কোনও দল নেই। এত মানুষ জড়ো করার শক্তিও নেই। আসলে ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। এরও তদন্ত হওয়া উচিত।
আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে যে কংগ্রেস প্রথম ইউপিএ জমানায় বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পিছপা হয়নি, আজ তাদের মুখে এমন মন্তব্য নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। রশিদ অলভি অবশ্য বলেন, “পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে জাতীয় স্বার্থে। আর জাতীয় স্বার্থেই এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে ইন্ধন দিচ্ছে কারা?”
বস্তুত অণ্ণা হজারেকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও আজ বলেছেন, “ভারতের অর্থনীতি বর্ধিষ্ণু। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই মুহূর্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ উঠতি শক্তি এই দেশ। কিন্তু অনেক শক্তি ভারতকে সেই স্থানে পৌঁছতে দিতে চায় না। সুতরাং তাদের হাতের পুতুল হয়ে লাভ নেই। দেশে অস্থিরতা তৈরি করে এমন বাতাবরণ তৈরি করা ঠিক হবে না যাতে আর্থিক বৃদ্ধি বাধা পায়।”
প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্তব্যে বর্হিশক্তি হিসাবে কোনও দেশ বা গোষ্ঠীর নাম করেননি। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে আজ আমেরিকার নামই করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র অলভি। সেই সঙ্গে তাঁর এ-ও বক্তব্য, অণ্ণার আন্দোলনকে নিয়ে এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। |
|
|
|
|
|