|
|
|
|
সরকারকে বিব্রত করবে না শরিকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ঘরোয়া মহলে ইউপিএ শরিকরা কাল বুঝিয়ে দিয়েছিল, অণ্ণা হজারের গ্রেফতারিতে সমর্থন নেই তাদের। তবে সেই অসন্তোষ প্রকাশ্যে এনে সরকারকে বিব্রত করতে চাইছে না তৃণমূল, এনসিপি এবং ডিএমকে। তিন বড় শরিক এই অবস্থান নেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা স্বস্তিতে সনিয়া-মনমোহন শিবির।
অণ্ণার আন্দোলন মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে চতুর্দিক থেকে আক্রমণের মধ্যে আর সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে চাইছে না শরিকরা। অণ্ণাকে গ্রেফতারের কারণ ব্যাখায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দিয়েছেন আজ। লোকসভায় বিতর্ক হলে তৃণমূল এবং এনসিপি তাতে যোগ দেয়নি। আর ডিএমকে সওয়াল করেছে সরকারের পক্ষেই। টু-জি মামলায় তিহাড়বন্দি এ রাজা ও করুণানিধি-কন্যা কানিমোঝির মুক্তির লক্ষ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্ঘাতে না যাওয়ারই কৌশল নিয়ে চলছে ডিএমকে। লোকসভায় তাদের সাংসদ টি কে এস এলানগোভান আজ একেবারে কংগ্রেসের সুরেই বলেন, “নাগরিক সমাজ তাদের পছন্দমাফিক আইন প্রণয়নে যে ভাবে সংসদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই আন্দোলন কার্যত সংসদের উপর চাপ সৃষ্টির নামান্তর।” তার সঙ্গে এলানগোভান শুধু যোগ করেন, “দিল্লি সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্না দেওয়ার অনুমতি দেওয়া।” অণ্ণার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি।
তৃণমূলও মনে করে, প্রত্যেক মানুষের অনশন বা বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার থাকলেও সংসদকে ব্ল্যাকমেল করে বা চাপ দিয়ে নিজেদের দাবি মানতে বাধ্য করাটা মোটেই গণতন্ত্র নয়। তবে লোকসভার বিতর্কে অংশ না নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলতে চাননি। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যায় তিনি শুধু বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ে সরকারের সদর্থক পদক্ষেপের পাশে থাকবে দল।”
এনসিপি কিন্তু আণ্ণা-পর্ব নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলতে নারাজ। মহারাষ্ট্রে অণ্ণার আন্দোলনের কারণে অতীতে হাত পুড়েছে তাদের। এনসিপি জানিয়েছে, অণ্ণা-প্রশ্নে সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক, দল তা মেনে নেবে। |
|
|
|
|
|