|
|
|
|
প্রসঙ্গ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন |
অণ্ণা দোষী হলে রাহুল কেন নায়ক, প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অণ্ণা দোষী হলে রাহুলকে কেন মাথায় তোলা হবে? অণ্ণা হজারের গ্রেফতার নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে বার বার এই প্রশ্নেই জেরবার হতে হল কংগ্রেসকে।
মনমোহন সরকারের যুক্তি, অণ্ণা হজারে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করতে চাইছিলেন বলেই তাঁকে গ্রেফতার করতে হয়েছে। অথচ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী উত্তরপ্রদেশের ভাট্টা-পারসলে ১৪৪ ধারা ভেঙে সভা করায় তাঁকে নায়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ রাহুলকে গাড়িতে তুলে দিল্লি পৌঁছে দিলে, তার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল গাঁধীর জন্য তা হলে ভিন্ন অবস্থান কেন?
অণ্ণা হজারেকে গ্রেফতার ও তাঁকে অনশনের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে আজ সংসদের বিতর্কে তৃণমূলের কোনও সদস্য অংশ নেননি। কিন্তু গোটা বিতর্কে বার বারই উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ।
সিপিএম নেতারা যখন ১৪৪ ধারা সম্পর্কে মাত্রাতিরিক্ত কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, এই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার জন্যই বামফ্রন্ট সরকার মমতাকে মহাকরণ থেকে পুলিশ দিয়ে বার করে দিয়েছিল। অণ্ণাকে কেন অনশনের অনুমতি দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলে জেডি (ইউ) নেতা শরদ যাদব বলেন, সিঙ্গুর নিয়ে মমতা প্রায় এক মাস অনশন করেছিলেন। রাজ্যের তৎকালীন বাম সরকার তবুও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, জোর করে অনশন তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেনি। পাশে বসা সিপিএম-নেতা বাসুদেব আচারিয়াকে দেখিয়ে তিনি বলেন, “সেই অনশনের ঠেলায় এই বেচারারা ভোটে হেরেও গিয়েছেন।” সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামেও গণতান্ত্রিক অধিকারের উপরে আক্রমণ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস সাংসদ মীনাক্ষি নটরাজন।
আইন বলছে, কোনও এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলে সেখানে পাঁচ জন বা তার বেশি ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ। আজ সংসদে বিজেপি বার বার প্রশ্ন তুলেছে, জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্কে না হয় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, কিন্তু দিল্লির ময়ূর বিহারের যে এলাকা থেকে অণ্ণাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানে তো ১৪৪ ধারা ছিল না। তবু কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল?
বিরোধীদের অনেকের প্রশ্ন, তবে কি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রদর্শনের পরিকল্পনা হলেই ১৪৪ ধারা জারি করা হবে? যাঁরা বিক্ষোভের কর্মসূচি নেবেন, তাঁদের কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রেফতার করা হবে?
চিদম্বরম যুক্তি দিয়েছেন, গাঁধীবাদী নেতা অণ্ণা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করতে চলেছেন, তা স্পষ্ট হওয়ার পরেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ও ১৫১ নম্বর ধারায় তাঁকে আটক করা হয়। এই ধরনের গ্রেফতার আগে হয়েছে। লালু প্রসাদ যখন বিহারে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথ আটকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল, তখনও সেই পদক্ষেপ সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই নেওয়া হয়েছিল। |
|
|
|
|
|