|
|
|
|
প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে ঢেলে সাজছে ডাক বিভাগ |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ডাক বিভাগ ঢেলে সাজতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর। ডাক বিভাগের আয় নিশ্চিত করতে এবং প্রযুক্তির যুগে তাকে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে তারা। সেই লক্ষ্যে কর্পোরেট ধাঁচে বিভাগটিকে গড়ে তোলা হবে। এ জন্য বিভিন্ন বেসরকারি খুচরো বিপণন সংস্থা, ব্যাঙ্ক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথাও ভাবছে তারা।
দেশের ১.৫ লক্ষেরও বেশি ডাকঘরে পরিষেবার মানোন্নয়ন, মুনাফা বাড়ানো এবং খরচ কমানো-সহ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে টেলিকম দফতর। ২২টি আঞ্চলিক প্রধান ডাকঘর যাতে বাধ্যতামূলক ভাবে বছরে ২০% আয় বাড়াতে পারে, সেই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। কর্পোরেট ধাঁচে বিভাগটিকে ঢেলে সাজা হলেও, তা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগমন্ত্রী কপিল সিব্বল প্রতি মাসে ২২টি আঞ্চলিক প্রধান ডাকঘরের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং কাজের পর্যালোচনা করবেন।
গত কয়েক বছর ধরেই ডাক বিভাগের প্রায় ৯০% ব্যয় হয় দেশ জুড়ে থাকা মোট ১.৫৫ লক্ষ শাখার প্রায় ৪.৭৫ লক্ষ কর্মীকে বেতন দিতে। ইন্টারনেট এবং উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে যুদ্ধে ক্রমশই জমি হারাচ্ছে এই বিভাগ। যার ফল হিসাবে ২২টির মধ্যে ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড এববং উত্তর-পূর্ব সার্কেল-সহ বেশ কয়েকটি সার্কেলে লোকসানের মুখে পড়েছে তারা। তবে অসম, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও হরিয়ানা-সহ কয়েকটি সার্কেলে ভাল ফল করেছে ডাক বিভাগ। ২০১০-’১১ অর্থবর্ষে ডাক বিভাগের আয় তার আগের বছরের থেকে ১১% বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৬,৯৫৪.০৯ কোটি টাকা। তবে কোনও কোনও সার্কেলে কম আয়ই তাদের নতুন পন্থা নিতে বাধ্য করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে দাবি।
ডাব বিভাগ সূত্রে খবর, দেশের গ্রামাঞ্চলগুলিতে যেখানে শহরের মতো উন্নতমানের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বা খুচরো বিপণনের সুবিধা নেই, সেখানে পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকী হিন্দুস্তান লিভার বা রিলায়্যান্স ফ্রেশের মতো খুচরো বিপণন সংস্থার সঙ্গেও জোট বাধার কথা ভাবছে তারা। গ্রামাঞ্চলে শিক্ষামূলক প্রকল্প, অভিন্ন পরিচয়পত্র-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পকে ছড়িয়ে দিতেও ডাক বিভাগের সাহায্য নিতে উৎসাহী টেলিকম মন্ত্রক। বিএসএনএল বা এমটিএনএল-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ক্ষেত্রে প্রতি মাসে যে ধরনের পর্যালোচনা চালু করা হয়েছে, ডাক বিভাগের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা কার্যকর করলে ভাল ফল হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে টেলিকম দফতর। |
|
|
|
|
|