|
|
|
|
|
তিন দিন পর চাঙ্গা শেয়ার বাজার,
সূচক উঠল ১১০
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
তিন দিন পর সামান্য কিছুটা চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। বুধবার সেনসেক্স ১০৯.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে বাজার বন্ধের সময় দাঁড়ায় ১৬,৮৪০.৮০ অঙ্কে। তবে এর আগে টানা তিন দিনের লেনদেনে সূচকের পতন হয়েছে প্রায় ৪০০ পয়েন্ট।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য শেয়ার বাজারকে এই দিন চাঙ্গা হতে সাহায্য করেছে বলে বাজার সূত্রের খবর। বর্ষা ভাল হচ্ছে, এর ফলে মূল্যবৃদ্ধি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
এ দিকে এ দিনের লেনদেনের পর ‘মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন’ বা শেয়ারের মোট বাজার মূল্যের নিরিখে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজকে ছাড়িয়ে গেল কোল ইন্ডিয়া। বর্তমানে শেয়ারের দামের ভিত্তিতে কোল ইন্ডিয়ার মোট বাজার মূল্য ২,৫১,২৯৬ কোটি টাকা। যা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের থেকে ৪,১৬৭ কোটি টাকা বেশি।
তবে বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দিনের সূচকের উত্থান কোনও মতেই বাজারের ঘুড়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত নয়। বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “বাজারের গতিপ্রকৃতির ব্যাপারে অক্টোবর মাসের আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।” তাঁর এই মন্তব্য করার কারণ হল, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি আগাম আয়কর জমা দেবে। তা থেকেই বোঝা যাবে চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ওই সব সংস্থার আর্থিক ফলাফল কেমন হবে। যা শুধু শেয়ার বাজারের কাছেই উল্লেখযোগ্য তথ্য নয়, এর থেকে দেশের আর্থিক অগ্রগতির ব্যপারেও ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণ নীতির পর্যালোচনায় কী পদক্ষেপ করে, তার দিকেও তাকিয়ে আছে বাজার। গত দেড় বছরে মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ১১ বার সুদের হার বাড়ানোর রাস্তায় হেঁটেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টে এর ফলে মূলধন সংগ্রহের খরচ বেড়ে যাওয়ায় শিল্প বৃদ্ধির হার তলানিতে এসে ঠেকার উপক্রম হয়েছে। শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধি কমার বিশেষ যে খারাপ দিকটি রয়েছে, তা হল কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া। শিল্পোৎপাদন খুব কম হলে, খুলে যেতে পারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথও। তাই এই সবের পরিপ্রেক্ষিতেই এ বার সকলে উদ্গ্রীব হয়ে আছেন এই দেখতে যে, ঋণনীতির পরবর্তী পর্যালোচনায় ফের সুদ বাড়ানোর পুরনো রাস্তাতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হাঁটে কি না।
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই মত, বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি শুধু কোনও নির্দিষ্ট দেশের ব্যাপার নয়। এটা ঘটছে বিশ্ব জুড়ে। তাই এই অবস্থায় সুদের হার বাড়িয়ে চাহিদা কমিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন। অজিতবাবু মনে করেন, এই সব বিষয় অনুধাবন করার পরেই শেয়ার বাজার কোন দিকে যাবে, সে ব্যাপারে ধারণা কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে। তাই সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, আপাতত শেয়ার বাজার থেকে দূরে থাকুন। আর একান্তই বিনিয়োগ করতে চাইলে, করুন দীঘর্র্কালীন ভিত্তিতে। বাছাই করা ভাল শেয়ারে। অল্প অল্প করে। |
|
|
|
|
|