|
|
|
|
পুনর্নিয়োগের দাবিতে স্কুলে ‘চড়াও’ তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
মিড-ডে মিলের কাজে এক মহিলাকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর লোকজনের উপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রানিগঞ্জের জেমারি পঞ্চায়েতের বেলিয়াবাথানের ঘটনা। ওই স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা এ ব্যাপারে নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল অবশ্য হামলার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে দেখা যায়, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বেলিয়াবাথান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ওই স্কুলে মিড-ডে মিল রান্নার কাজে নিযুক্ত স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী থেকে ২০০৮ সালে সবিতা মাহাতো নামে এক সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁকে পুনর্নিয়োগের দাবি জানাতে থাকেন ওই তৃণমূল কর্মীরা।
প্রধান শিক্ষক উত্তম কর্মকার তাঁদের জানান, এই বিষয়টি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। তবে পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলেও বিক্ষোভকারীদের জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ কথা জানালেও তখন স্কুলে উপস্থিত স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর দুই কর্মী সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা এই পুনর্নিয়োগের দাবি মানবেন না। তার জেরেই অশান্তি বাধে। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ১১ জন সদস্য নিমচা ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তাঁরা জানান, সবিতাদেবীকে ২০০৮ সালে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। এ দিন তৃণমূল নেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, অজিত মাহাতোদের নেতৃত্বে এক দল তৃণমূল কর্মী স্কুলে ঢুকে তাঁদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ওই গোষ্ঠীর সদস্যেরা।
এ দিকে, তৃণমূল নেতা প্রদীপবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, “সবিতাদেবীকে ষড়যন্ত্র করে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ফের নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছি। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।” জেমারির সিপিএম প্রধান নিমাই ঘোষ বলেন, “রাজ্যে ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ সব মানা হবে না।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। |
|
|
|
|
|