|
|
|
|
ঢাকনা না থাকায় ক্ষোভ |
পুরসভার জলাধারে বালকের দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
পুরসভার তৈরি একটি ঢাকনাহীন জলাধার থেকে এক বালকের দেহ উদ্ধার হল আসানসোলের দিলদারনগরে। বুধবার সকালে দেহটি ওই জলাধারের জলে ভেসে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ফুচু হাড়ি (৭)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। মঙ্গলবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জলাধারের আশপাশে খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বালকের। পুরসভার গাফিলতিতেই এমন ঘটেছে বলে ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকালে তাঁরা ওই জলাধারটিতে শিশুটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। তাঁরাই তাকে জল থেকে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এই দিলদারনগরে গরিব বাসিন্দাদের জন্য বিএসইউপি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করছে পুরসভা। সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জল ধরে রাখতে পুরভার তরফে পাঁচ ফুট উচ্চতার বেশ কয়েকটি জলাধার তৈরি করা হয়েছে এলাকায়। |
|
দেহ মেলার পরেও আঢাকা ট্যাঙ্কের সামনে বাচ্চাদের উঁকিঝুঁকি। নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু এই সব জলাধারগুলির কোনও ঢাকনা নেই। সেখানে খেলতে গিয়েই ওই বালকের পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দা আনন্দ হরিজনের অভিযোগ, “আমরা বহু বার পুরসভাকে জলাধারটি ঢেকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ আমল দেননি।”
পুর কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এমন ঘটেছে। মেয়র তাপস বন্দোপাধ্যায় বলেন, “জলাধারটি ঘিরে দেওয়ার জন্য বা ঢাকা দেওয়ার জন্য আমরা ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার কথা না শোনায় এই বিপত্তি হয়েছে।” তাপসবাবু জানান, যে ঠিকাদার সংস্থাকে ওই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে তাদের কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। পুরসভার যে অফিসার এই কাজটি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন তাঁর বিষয়েও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, গাফিলতি প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। |
|
|
|
|
|