হাসপাতালের ট্রান্সফর্মার খুলে বিপাকে আধিকারিক
গ্রামীণ হাসপাতালের ট্রান্সফর্মার জোর
করে খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এক স্টেশন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির খানাকুল স্টেশন ম্যানেজার ও এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী সাহা। তাঁর অভিযোগ, “রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ স্টেশন ম্যানেজার ও ঠিকাদার ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে এসে কাউকে কিছু না জানিয়ে ট্রান্সফর্মার খুলে নিয়ে যান। কেন তা খোলা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেননি। বাধা দিলে আমাদের গায়ের জোরে সরিয়ে দেওয়া হয়।”
পুলিশ ছাড়াও বিষয়টি খানাকুল ১-এর বিডিও এবং মহকুমাশাসককে জানিয়েছেন সব্যসাচীবাবু। তাঁর দাবি, “৬৩ কেভি-র ট্রান্সফর্মারটির বদলে মাত্র ২৫ কেভি-র একটি ট্রান্সফর্মার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র প্রায় বন্ধ। ডিপ ফ্রিজে রাখা ভ্যাকসিন এবং ওষুধও নষ্ট হতে বসেছে।” অভিযুক্ত স্টেশন ম্যানেজার সুখেন্দু মুদি বলেন, “শুক্রবার সকালে খানাকুল বাজারে একটি ১০০ কেভি ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ঘেরাও হই। জনরোষ ঠেকাতে এবং জল সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হাসপাতাল থেকে ট্রান্সফর্মার খুলতে হয়েছে। হাসপাতালের কাজ চালাতে বিকল্প ট্রান্সফর্মারেরও ব্যবস্থা করেছি।” অভিযুক্ত ঠিকাদার তরণী মান্নার দাবি, “ট্রান্সফর্মার খুলে আনতে লোকজন চাওয়া হয়েছিল। তাই আমি ওখানে গিয়েছিলাম।”
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আরামবাগ ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল অবশ্য বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই অনুমোদিত ট্রান্সফর্মার খুলে নেওয়া যায় না। ওই স্টেশন ম্যানেজারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “রাতেই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে পুলিশে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।” হাসপাতালের জন্য ৬৩ কেভি ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে চন্দনবাবু জানিয়েছেন।

ডাক্তারকে ‘ধমক’ মেদিনীপুরে
এক চিকিৎসকের উপরে রোগীর আত্মীয়ের চোটপাটে শনিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর। মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি তাঁর বাবার চিকিৎসা যথাযথ হচ্ছে না বলে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা এক যুবক কর্তব্যরত এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধমক দেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসকের সঙ্গে বচসা বাধে। জুনিয়র ডাক্তারটি তাঁকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওই যুবকের। গোলমালের আশঙ্কায় অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ওয়ার্ড ছেড়ে যান। পরিষেবা ব্যাহত হয়। পুলিশ আসে। শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারটিকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। যদিও ওই চিকিৎসকের দাবি, তিনি রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। তাঁর অভিযোগ, ইদানীং প্রায়ই রোগীর আত্মীয়েরা নানা ব্যাপারে কৈফিয়ৎ চাইছেন। বুঝিয়ে বললেও লাভ হচ্ছে না। হাসপাতালের সুপার রামনারায়ণ মাইতিও বলেন, “রোগীর আত্মীয়দের উদ্বেগ থাকেই। কিন্তু অনেক সময়েই অধৈর্য হয়ে তাঁরা চিকিৎসকদের উপরে চোটপাট করছেন। পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।”
Previous Story First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.