|
|
|
|
টুকরো খবর |
|
এক বইয়ে তিন বিষয়, সুপারিশ কমিটির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রাথমিকে ইতিহাস, ভূগোল ও প্রকৃতি বিজ্ঞানকে এক মলাটের তলায় এনে স্কুলব্যাগের ভার কমানোর সুপারিশ করছে স্কুলশিক্ষা দফতর নিযুক্ত পাঠ্যক্রম কমিটি। সদস্যদের মতে, ওই তিন বিষয়ের মোট যা ভার, এর জেরে তার প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাবে। বর্তমানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ইতিহাস-ভূগোল এবং প্রকৃতি বিজ্ঞানের জন্য দু’টি আলাদা বই পড়ানো হয়। আইসিএসই, সিবিএসই-র মতো সর্বভারতীয় বোর্ডেও প্রাথমিক স্তর থেকেই ইতিহাস-ভূগোল এবং বিজ্ঞানের জন্য পৃথক বই আছে। শনিবার ওই কমিটির বৈঠকে দেশের অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে এ রাজ্যের পাঠ্যক্রম তুলনা করেন সদস্যেরা। আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভার কমাতে গিয়ে খেয়াল রাখা হবে যাতে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে না পড়ে। কমিটির এক সদস্য এ দিন বলেন, “সে কথা মাথায় রেখেই আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পাঠ্যক্রমের রূপরেখার (‘ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক’) সুপারিশ মেনেই ওই তিন বিষয়ে একটি বইয়ের কথা ভাবা হচ্ছে।” এ ছাড়া বাংলার পাঠ্যক্রমেও কমিটি বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ করতে চায় বলে ওই সদস্য জানিয়েছেন।
|
কয়লা ধর্মঘটে সঞ্চয়ই ভরসা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোল ইন্ডিয়ায় অর্থ ও কয়লার তীব্র সঙ্কটের মধ্যে বেতন চুক্তির দাবিতে সোমবার থেকে তিন দিনের ধর্মঘট ডাকল শ্রমিক সংগঠনগুলি। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের আশা, ধর্মঘটের দিনগুলিতে সঞ্চিত কয়লা দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা যাবে। সিইএসসি-র গায়ে অবশ্য ধর্মঘটের আঁচ সে ভাবে লাগবে না বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তাদের চারটি উৎপাদন কেন্দ্রের অর্ধেক কয়লাই আসে নিজস্ব খনি থেকে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের কাছে অবশ্য ধর্মঘটের চেয়েও বড় সমস্যা অর্থ সঙ্কট। ইতিমধ্যেই কয়লা কোম্পানির কাছে তাদের ৬০০ কোটি টাকার দেনা হয়ে গিয়েছে। আয়-ব্যয়ের ঘাটতিতে প্রতি মাসে কয়লার দাম বকেয়া পড়ে যাচ্ছে অন্তত ২০০ কোটি টাকা। অর্থ সঙ্কটের জেরে সেপ্টেম্বর থেকেই কয়লার জোগান কমে অর্ধেক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কমে যাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনও। ফলে পুজোর মুখেই সঙ্গিন হয়ে উঠবে রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ। সাধারণত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৮-১০ দিনের কয়লা মজুত থাকে। তবে নিগমের কোলাঘাট কেন্দ্রে শনিবার কয়লা ছিল চার দিনের। ধর্মঘটের জন্য পর পর তিন দিন কয়লা না এলে এই সঞ্চয় কমে এক দিনের হয়ে যাবে। তবে সাগরদিঘি, বক্রেশ্বর, ব্যান্ডেল ও সাঁওতালডিহি নিয়ে ভাবছেন না বিদ্যুৎ কর্তারা। |
|
|
|
|
|