|
|
|
|
‘রাগিং’ রুখতে গিয়ে সংঘর্ষ পলিটেকনিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
কর্মীরা রাগিংয়ে বাধা দেওয়ায় দ্বিতীয় বর্ষের কিছু ছাত্র বোলপুরের পলিটেকনিক কলেজে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে ছাত্র ও কর্মী মিলিয়ে জখম হয়েছেন মোট ১২ জন। দ্বিতীয় বর্ষের সাত ছাত্র বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
শুক্রবার রাতের ওই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্ট কাল কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সব ছাত্রকে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, শনিবার রাত পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তা জানাননি। অভিযুক্তেরা অবশ্য র্যাগিং করতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেননি।
বেসরকারি ওই কলেজের টিচার ইনচার্জ অনির্বাণ রায় বলেন, “দ্বিতীয় বর্ষের আবাসিক ছাত্রদের একাংশ প্রথম বর্ষের ছাত্রদের র্যাগিং করতে তাদের হস্টেলের সামনে জড়ো হয়েছিল। কলেজের কিছু কর্মী তাদের বাধা দেন। এতেই তারা মারমুখী হয়ে কলেজে ভাঙচুর চালায়।” বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙা হয়। সংঘর্ষে পাঁচ কর্মী আহত হন।
দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের পাল্টা দাবি, হস্টেলের দুরবস্থা বা খারাপ খাবার নিয়ে প্রতিবাদ জানানোতেই কর্তৃপক্ষ বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে তাঁদের উপর আক্রমণ চালান। তবে কোনও পক্ষই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। বীরভূমের পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজ বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রথম বর্ষের ছাত্রদের অভিযোগ, গত রবিবার রাতেও তাঁদের রাগিং করা হয়েছিল। পরের দিন তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টিচার-ইন-চার্জের বক্তব্য, “অভিযোগে নির্দিষ্ট কারও নাম ছিল না। তবে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল।” কলেজে কোনও ‘অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি’ আছে কি না, তা-ও তিনি জানাতে পারেননি। |
তৃণমূল কর্মী আটক, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর
|
দলীয় নেতাকে আটক করার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করল তৃণমূল। শনিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বীরভূমের নানুরের বাসাপাড়া এবং পালিতপুরে বোলপুর-পালিতপুর সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, দলের স্থানীয় থুপসড়া অঞ্চল কমিটির সদস্য শেখ জামালকে এ দিন পুলিশ বিনা কারণে তুলে নিয়ে যায়। বিভিন্ন অভিযোগে শেখ জামাল মাস তিনেক জেলে ছিলেন। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান। ২৭ জুলাই বাসাপাড়ায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে শেখ জামাল পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজ বলেন, “সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে ওই যুবককে ধরা হয়েছিল। জামিনে ছাড়া হয়।” |
|
|
|
|
|