টুকরো খবর

খুন করে রাস্তায় দেহ ফেলে রাখার ছবি ফের দেখল জঙ্গলমহল। শনিবার সকালে বিনপুরের দহিজুড়ি মোড়ে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কেঅজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ অবশ্য দেহটি দ্রুতই উদ্ধার করে নিয়ে যায়। খালি গা, হাফপ্যান্ট পরা বছর তিরিশের ওই যুবকের শরীর জুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। কপালে ও মাথার পিছনে গভীর ক্ষত। গলায় কালশিটে। পুলিশের অনুমান, মারধরের পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ওই যুবকের শ্বাসরোধ করা হয়। কপালে ও মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করা হয়েছিল। কারা, কেন খুন করেছেসে নিয়ে ধন্দ না-কাটলেও মাওবাদী-যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। শুক্রবার সকালে বিনপুর লাগোয়া লালগড়ের বেলাটিকরি অঞ্চলে সুচিত্রা মাহাতোর নেতৃত্বে মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যরা রয়েছে খবর পেয়ে তল্লাশিতে গিয়েছিল যৌথ বাহিনী। সন্দেহভাজন কারও দেখা অবশ্য পায়নি বাহিনী। কিন্তু তল্লাশির পিছনে স্থানীয় কাউকে ‘চর’ সন্দেহ করে মাওবাদীরা খুন করে থাকতে পারে বলে পুলিশের একাংশের অনুমান। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্য দিকে, নয়াগ্রামের ছোট-খাঁকড়ি এলাকায় একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে এলাকাবাসীর বৈঠকে মাওবাদীরা হাজির রয়েছে সন্দেহে শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালায় পুলিশ। লোকজনকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন, নাশকতার পুরনো নানা মামলায় জড়িয়ে তাঁদের শনিবার আদালতে হাজির করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে এবং বাকিদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। নয়াগ্রামের ‘অগ্রগামী কৃষক মজুর ঐক্য’র মুখপাত্র দিলসান মুর্মুর দাবি, ধৃতেরা তাঁদের সংগঠনের সদস্য। মাওবাদী সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁদের।

বছর দেড়েক আগে এক তৃণমূল কর্মীকে ‘গুমখুনে’র অভিযোগে সিপিএমের ২৬ জন নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের হল কেশপুরের আনন্দপুর থানায়। শুক্রবার শালবনি লাগোয়া মোহনপুরের খালপাড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। ওই দেহাবশেষ বছর দেড়েক আগে গোদাপিয়াশাল থেকে ‘অপহৃত’ দলীয় কর্মী যজ্ঞেশ্বর মাহাতোর বলে দাবি করে তৃণমূল। রাতেই আনন্দপুর থানায় যজ্ঞেশ্বরের ভাই ভাগবত ২৬ জনের বিরুদ্ধে দাদাকে খুন করে লাশ গায়েবের অভিযোগ দায়ের করেন।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের। শনিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে হলদিয়ার চৈতন্যপুরের কাছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে। মৃতের নাম বিপ্লব বিশ্বাস (৫২)। বাড়ি কলকাতার বেহালায়। তিনি দু’বছর ধরে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
Previous Story First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.