|
|
|
|
হাড়গোড়-কাণ্ড |
সিপিএম নেতাকর্মীদের নামে এ বার মামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বছর দেড়েক আগে এক তৃণমূল কর্মীকে ‘গুমখুনে’র অভিযোগে সিপিএমের ২৬ জন নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের হল কেশপুরের আনন্দপুর থানায়। শুক্রবার শালবনি লাগোয়া আনন্দপুরের মোহনপুর এলাকার খালপাড়ে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। ওই দেহাবশেষ বছর দেড়েক আগে গোদাপিয়াশাল থেকে ‘অপহৃত’ দলীয় কর্মী যজ্ঞেশ্বর মাহাতোর বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতারা। রাতেই আনন্দপুর থানায় যজ্ঞেশ্বরের ভাই ভাগবত মাহাতো ২৬ জন সিপিএম নেতাকর্মীর নামে দাদাকে খুন করে লাশ গায়েবের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের শালবনি জোনাল সম্পাদক শ্যাম পাণ্ডে, জেলা কমিটির সদস্য মেঘনাদ ভুঁইয়া ও মানিক সেনগুপ্ত, কেশপুর জোনাল সদস্য তন্ময় ঘোষ, হিরালাল ভুঁইয়ার মতো নেতারা। পুলিশ ইতিমধ্যে সুনীল দোলই ও লক্ষ্মণ সোরেন নামে দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শালবনি ব্লক অফিসে এক বৈঠক শেষে ফেরার পথে অপহৃত হন যজ্ঞেশ্বর। সে দিন তাঁর সঙ্গী ছিলেন সাতপাটি পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান পরিমল ঢল। তাঁর বক্তব্য, “পথে সিপিএমের হামলার মুখে পড়ি আমরা। আমি কোনও রকমে পালাই। যজ্ঞেশ্বরকে ওরা তুলে নিয়ে যায়।” সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজনৈতিক কাজকর্মে বাধা দেওয়ার ‘স্বৈরতান্ত্রিক উদ্দেশ্য’ নিয়েই ‘মিথ্যা’ মামলায় জড়ানো হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের।
|
|
|
|
|
|