খবর এক মুঠো
গুপ্তযুগের স্বর্ণমুদ্রা হাতে পেল প্রত্ন দফতর। বিস্তারিত...

মোগল না ব্রিটিশ আমলে তৈরি করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর দুর্গ! বিতর্কের শুরু এখানেই। বিস্তারিত...

প্রায় ১৭০০ ফুট উঁচু পাহাড়। পাহাড় চুড়োয় শাল-সেগুন-পিয়ালের জঙ্গল। তারই মাঝে ধাপে ধাপে সুন্দর করে সাজানো কটেজ। সকালে ঘুম ভাঙবে পাখির ডাক শুনে। কটেজ থেকে বাইরে বেরোলেই চোখে পড়বে হরেকরকম পাখি। শীতের সকালে হাতে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ নিয়ে উপভোগ করুন চারপাশের নির্জনতা। গড় পঞ্চকোটে আপনাকে স্বাগত! এক বার যাঁরা গিয়েছেন পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের ওই পাহাড়ে, তাঁরা বারবার যেতে চান। যাচ্ছেনও। এটাই গড় পঞ্চকোটের ‘ইউএসপি’। আর সেই ‘ইউএসপি’-র সৌজন্যেই উত্তরবঙ্গের লাভা, লোলেগাঁও, মংপং, রংপো, মূর্তি বা সামসিংকে পিছনে ফেলে ব্যবসার নিরিখে রাজ্যের প্রথম গড়পঞ্চকোট প্রকৃতি-ভ্রমণ কেন্দ্র। সবুজ ঘেরা এই পাহাড়েই একদা ছিল পঞ্চকোট রাজবংশের রাজধানী। ইতিহাসের হাতছানির পাশাপাশি এখানে আছে সুন্দর নিসর্গ। অদূরেই ঝাড়খণ্ড সীমানার পাঞ্চেত জলাধারের জলরাশি। সামান্য দূরেই ‘হীরক রাজার দেশে’-র শ্যুটিংয়ের জন্য বিখ্যাত রঘুনাথপুরের জয়চণ্ডী পাহাড়। আর একটি আকর্ষণ হল রঘুনাথপুরের তসর সিল্ক, যার খ্যাতিও নেহাত কম নয়। সব মিলিয়ে ছুটির প্যাকেজ হিসাবে দুর্দান্ত। পাহাড়ের কোলে এই প্রকৃতি-ভ্রমণ কেন্দ্রের ছ’টি কটেজে মোট ১৭টি ঘর রয়েছে। দামোদর, বরাকর, শাল, পিয়াল, মহুয়ার মতো কটেজগুলিতে স্বাচ্ছন্দ্য যথেষ্ট। এক সঙ্গে ৪২ জন থাকতে পারেন এই কটেজগুলিতে। বস্তুত, ছোট্ট ছুটি বা সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর জন্য গড় পঞ্চকোট একেবারে আদর্শ।

ময়ূরাক্ষী নদীর খাত থেকে বালি তুলতে গিয়ে মিলল একটি প্রাচীন সিন্দুক। ভারী সিন্দুকটির প্রস্থ প্রায় দু’ফুট, চওড়া চার ফুট। পুলিশ জানিয়েছে, সিন্দুকটির মধ্যে থেকে ১৮০০ সালের বেশ কিছু রুপো ও তামার মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। একটি গোল সিল পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে কাশিমবাজার সিল্ক ফার্ম কথাটা লেখা রয়েছে। জেলা পুরাতত্ত্ব সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এই সিন্দুকটি কাশিমবাজার সিল্ক ফার্মেরই সম্পত্তি। কোনও কারণে সেটি নদী গর্ভে চলে গিয়েছিল। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে কাশিমবাজারে সপ্তদশ শতকেই সিল্ক ফার্ম তৈরি করেছিল ইংরেজরা। সিন্দুকটি থেকে পাওয়া বেশির ভাগ মুদ্রাই ১৮৪০ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যেকার। কিছু রুপোর মুদ্রার গায়ে ইংল্যান্ডের রানি প্রথম ভিক্টোরিয়া ও রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের ছবি ও নাম রয়েছে। কিছু রুপোর মুদ্রা মুঘল আমলের বলে অনুমান করা হচ্ছে। হাফ আনা, এক আনা, হাফ রুপিও পাওয়া গিয়েছে। বেশিরভাগটাই তামার হাফ আনা। তার গায়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাম লেখা রয়েছে। এই মুদ্রাগুলির বেশিরভাগই ১৮৪০ সালের।

ডুয়ার্সে পর্যটনের সমস্ত তথ্য একত্রিত করতে পৃথক পর্যটন সেল খুলতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। এ নিয়ে ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকও করে প্রশাসন। একটি ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য রাখা হবে। তার মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই বুকিংয়ের সুবিধে মিলবে। ডুয়ার্সে পর্যটনের সরকারি তথ্য বলতে, জেলার ১২টি সরকারি অতিথি নিবাসের যোগাযোগের নম্বর, আর ১৭টি অতি পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রের সম্পর্কে কয়েক লাইনের অতি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ঘাঁটলে আর থেকে বেশি তথ্য মিলবে না। কেন? কারণ, প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের কাছেও পর্যটন নিয়ে এর থেকে বেশি তথ্য একসঙ্গে নেই। এ জন্য জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে পৃথক পর্যটন সেল খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে পর্যটন নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজও। শুধুমাত্র ডুয়ার্সের পর্যটন নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে তথ্যগুলিকে দেওয়া হবে। যাতে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসেই শুধুমাত্র মাউসের ক্লিকে ডুয়ার্সের পর্যটন সম্পর্কে জানা এবং রিসর্ট এবং গাড়ি ‘বুকিং’ করতে পারবেন যে কেউ। যার ফলে, স্টেশনে বা বিমানবন্দরে নামার পর গাড়ি জোগাড় করার সমস্যাতেও পড়তে হবে না।

বরাক উপত্যকার আদি এবং প্রাক-মধ্য যুগের ইতিহাস খুঁজতে এগোচ্ছে ‘নর্থ-ইস্টার্ন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ’ (নেকাস)। পাঁচ বছরের গবেষণার প্রাথমিক রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধাপক অপূর্বানন্দ মজুমদার বলেন, “এর আগে এই অঞ্চলের তাম্রলিপি তিনজন পাঠ করেছেনরাজেন্দ্রলাল মিত্র, কে এম গুপ্ত এবং কমালাকান্ত গুপ্ত। নেকাস ফের তার পাঠ করছে।” তিনি জানান, ওই কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসের নতুন সূত্রের খোঁজ মিলেছে বলেও দাবি করেন অপূর্ববাবু। তিনি জানিয়ে দেন, বরাক উপত্যকায় আগে সমৃদ্ধ নৌ-বাণিজ্যের ঐতিহ্যক্ষেত্র গড়ে উঠেছিল। দ্রাবিড় সংস্কৃতির প্রভাবও রয়েছে।

এত দিন জল্পেশ মন্দির এলাকায় ইচ্ছা থাকলেও থাকা সম্ভব ছিল না। এ বার সেই ব্যবস্থাও হল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সাহায্যে জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন প্রাঙ্গণে একটি দোতলা পর্যটক আবাসের উদ্বোধন করেন উত্তবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গের এই প্রাচীন তীর্থস্থান ঘিরে পর্যটন বিকাশে নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। জল্পেশ্বর, বটেশ্বর, জটিলেশ্বর মন্দির এবং রামসাইকে ঘিরে একটি টুরিস্ট সার্কিট গড়ার চেষ্টা হচ্ছে। জল্পেশ মন্দিরের চারপাশের এলাকায় সুন্দর বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে।” মোট ১৬টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। ডরমেটরিরও রয়েছে। জল্পেশ মন্দিরে এখন সারা বছরই পর্যটক সমাগম হয়। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে লক্ষাধিক লোক মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এতদিন পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছিল না। অনেকে মূল মন্দিরের বারান্দায় রাত কাটাতেন। জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন দেব বলেন, “অনেকেই এসে এখানে থাকতে চাইতেন। অতিথিশালা না থাকার জন্য জায়গা দিতে পারতাম না। এ বার সেই সমস্যা মিটল।”

ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন মাদারিহাট থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে টোটোপাড়া। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে। পাশাপাশি রয়েছে ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থাও। তৈরি করা হয়েছে দু’শয্যা বিশিষ্ট দু’টি ঘর। নতুন ঘরের সঙ্গে লাগোয়া আগেই তৈরি আরও দু’টি কাঠের ঘরে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। টোটো জনজাতির বাসিন্দাদের চারটি বাড়িতেও পর্যটকরা থাকতে পারবেন। যারা হেঁটে পাহাড়ে যেতে পারবেন না, তাঁদের জন্য দু’টি ঘোড়া রাখার পরিকল্পনাও প্রশাসন নিয়েছে। থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে পায়ে চলার পথও। সেই পথে ট্রেক করে পর্যটকেরা উঠতে পারবেন পাহাড়ে। সেখান থেকে ঝর্ণা, কমলা লেবুর বাগান, তোর্সা নদী ও ভুটানের ফুন্টসিলিং শহর দেখা যাবে। পাহাড় ও জঙ্গলে মোড়া রাস্তা পেরিয়ে নরগাইতি পৌঁছলে দেখা মিলবে প্রাচীন মন্দিরের। পর্যটকদের ঘোরানো, আপ্যায়ন ও খাওয়ার বিষয়ে যাতে খামতি না থাকে সে জন্য এক জন টোটো কিশোরী-সহ আট জন যুবককে মাদারিহাটের পর্যটন দফতরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনের ‘কোর’ এলাকার দু’টি দ্বীপে পর্যটকদের যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। নেতিধোপানি ও হরিণখালি— কোর এলাকার এই দু’টি দ্বীপে আগে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হত না। নতুন এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি পর্যটকেরা। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকরী হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে পর্যটন প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বন দফতরের এই সিদ্ধান্ত তারই একটি পদক্ষেপ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকেই ওই নতুন রুট দু’টির প্রস্তাব করা হয়েছে। এক দিকে, সজনেখালি, সুবর্ণখালি ও দোকাঁকি হয়ে নেতাধোপানি ও অন্য দিকে, ঝিঙাখালি, বুড়ির ডাবরি হয়ে হরিণখালি। কোর এলাকায় যাতে বন্যপ্রাণীদের অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিকেল ৪টে পর্যন্ত ১৩টি লঞ্চে পর্যটকদের ওই দ্বীপগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে। শনি রবি ও সরকারি ছুটির দিনে অবশ্য ভ্রমণ কর বাড়বে। এই দু’টি দ্বীপে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের মাথাপিছু দিতে হবে ১০০ টাকা। এই দ্বীপগুলির ক্ষেত্রে সরকার প্রতি দিন লঞ্চ থেকে ১২০০ টাকা, ভুটভুটি থেকে ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করবে। গাইডের ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১২০০ টাকা দিতে হবে। ছুটির দিনে পর্যটকদের মাথা পিছু ভ্রমণ কর দিতে হবে ৮০ টাকা। আর ওই দিনগুলিতে সরকার প্রতি দিন লঞ্চ থেকে ৯০০ টাকা, ভুটভুটি থেকে ৬০০ টাকা আদায় করবে। গাইডের জন্য ৫৫০ টাকা দিতে হবে পর্যটকদের। সাধারণ দিনগুলিতে পূর্ব নির্ধারিত রাজস্ব হারই বজায় থাকবে।

শিল্প শহরের ধোঁয়া-ধুলো-দূষণ পেরিয়ে এক ঝলক টাটকা বাতাস। কলকল করে বয়ে চলা হলদি নদী। আর নদীর চরে শীতের দুপুরে এলিয়ে পড়া আলসে রোদ্দুর। নদীতীরের কৃত্রিম ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা দেখতে পারেন আবার স্রেফ মাছ ধরেও কাটিয়ে দিতে পারেন একটা বেলা। কিংবা বাড়ির সকলে মিলে পিকনিক। হলদিয়া শহরের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন একঘেয়ে জীবনের মাঝে একটু আনন্দ দিতে বছর দশেক আগে বন দফতর ও পুরসভার যৌথ উদ্যোগে বনবিষ্ণুপুরে হলদি নদীর ধারে গড়ে তোলা হয়েছিল ‘সানসেট ভিউ পয়েন্ট’। আশির দশক থেকে হলদিয়ায় একাধিক কল-কারখানা গড়ে ওঠায় পরিবেশে দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলদি নদীর পাড় বরাবর ব্যাপক হারে বনসৃজন করা হয়। ২০০৩ সালে বনদফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে হলদিয়া পুরসভা ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বনবিষ্ণুপুরে নদীতীরে সূর্যাস্ত দেখার জন্য একটি কংক্রিটের উঁচু কাঠামো গড়ে তোলে। করা হয় বিদ্যুত্‌, পানীয় জল ও শৌচাগারের। মোরামের রাস্তাও হয়। পরবর্তীকালে ওই এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বনবিষ্ণুপুর ও রায়রাঞাচকে হলদি নদীর তীর বরাবর প্রায় আড়াই কিলোমিটার জায়গায় ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়। শহরের মধ্যে নদী, ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের এমন মেলবন্ধন বিরল। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রায় সারাবছরই এখানে পর্যটকরা আসেন। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মরসুমে ভিড় আরও বাড়ে।

দার্জিলিঙের পর্যটনের উন্নতিতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। পাহাড়ের ট্যুর অপারেটর এবং স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এদিন দার্জিলিঙের ভানু ভবনে অগম সিংহ গিরি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য। জিটিএ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ৬ বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর থেকে ফের চালু হল।

তিন দশক ধরে স্বপ্ন দেখে একার চেষ্টায় একটি রিসর্ট গড়ে ফেলেছেন ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মৌয়ামারি গ্রামের রণজিৎ রায়। শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে বাঁশ বাগান ও ধান খেত ঘেরা গাঁয়ের শেষ প্রান্তে ওই রিসর্ট গত বছর পর্যটকদের জন্য খুলেও দেওয়া হয়েছে। তাঁর এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, “রণজিৎবাবুর রিসর্ট একটা প্রেরণা। শীঘ্রই স্থানীয়দের নিয়ে ধরলার পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”

সাগরদ্বীপের পরে এ বার অন্ডাল। মহানগর থেকে দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়মিত হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হল। গঙ্গাসাগর যেতে ৩৫ মিনিট সময় লেগেছিল। অন্ডাল নিল ৪৫ মিনিট। সিঙ্গাপুরের সংস্থা চাঙ্গি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরি করেছে বেঙ্গল এরোট্রোপলিস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল)। বিএপিএল জানায়, এ বার থেকে প্রতি সোমবার কলকাতা-অন্ডাল রুটে হেলিকপ্টার যাতায়াত করবে। আর প্রতি শনিবার কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন উড়ে যাবে সেটি। ফেরার পথে অন্ডাল ঘুরে আসবে। রাজ্য সরকার কলকাতা-অন্ডাল রুটে ভাড়া ঠিক করেছে ৪২০০ টাকা। বিএপিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ জানান, তাঁরা কয়েক মাসের জন্য সাত আসনের হেলিকপ্টারের সব টিকিট কিনে নিচ্ছেন। যার অর্থ, এখন থেকে প্রতি সোমবার অন্ডাল যাতায়াতের ১৪টি টিকিট এবং শনিবার অন্ডাল-কলকাতা রুটের চারটি টিকিট মিলবে বিএপিএলের কাছে। ৪২০০ টাকায় কিনলেও সেই টিকিট পার্থবাবুরা ২৫০০ টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পিকনিক ও পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে সবুজ দ্বীপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হল জঙ্গিপুর পুরসভা। এ ব্যাপারে পাশে দাঁড়িয়েছে পর্যটন দফতর। বরাদ্দ দেড় কোটি টাকার সিংহভাগই দেবে পর্যটন দফতর। সবুজ দ্বীপে পর্যটক টানতে তৈরি করা হবে কটেজ। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও তা ভাড়া দেওয়া হবে। তৈরি হচ্ছে বাগান, ফোয়ারা। নবরূপে সেজে ওঠা এই দ্বীপের প্রবেশমূল্যও বাড়াচ্ছে পুরসভা। ১ জানুয়ারি থেকে পর্যটকদের প্রবেশমূল্য ২ টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা করা হবে।দ্বীপে ভাগীরথীর পাড় বরাবর গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে রয়েছে রান্নার পর্যাপ্ত জায়গা।ভাগীরথীর বুকে গজিয়ে ওঠা ৬৪ একরের ওই চরে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ ও জঙ্গিপুর পুরসভা মিলে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই দ্বীপটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সাজিয়ে তোলা হয়।