খবর এক মুঠো
বাড়ির ঘুলঘুলিতে চড়াই আর বাসা বাঁধে না। বাগানে-বাগানে মৌমাছির চাক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভরা বর্ষায় ব্যাঙের গ্যাঙরগ্যাং ডাক তো প্রায় স্মৃতিকথা। আর সন্ধের মুখে যাদের আনাগোনা দেখতে চোখ অভ্যস্ত ছিল, সেই বাদুড়-চামচিকেরাই বা গেল কোথায়? এত কাল দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা এই দৃশ্য ও শব্দগুলো হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে বিচ্ছুরিত তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণকে। যার প্রভাবে জীবজগৎ জেরবার হয়ে উঠছে বলে ওঁদের অভিযোগ। বিশেষত পাখি-পতঙ্গের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিশেষজ্ঞদের দাবি: ওই বিকিরণের জেরে পশু-পাখি-পতঙ্গকূলের আচরণ যেমন বদলে যাচ্ছে, তেমন প্রভাব পড়ছে প্রজননে। জীবনশৈলীর সঙ্গে দ্রুত কমছে তাদের সংখ্যা। অবস্থা এতটাই উদ্বেগজনক যে, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (বন্যপ্রাণী) বিবেক সাক্সেনা গত ৯ আগস্ট সমস্ত রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভিন্ন সৌধ-শিল্প-ইমারত নিদর্শন গড়ে উঠেছে ষোড়শ শতাব্দী বা পাঠান-মুঘল আমলে। হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)-এর আমলে তার বিস্তার ঘটে। পরে নবাবি আমলেও (১৭০৪-১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ) বিভিন্ন পুরাসম্পদ নির্মিত হয়েছে। ওই পুরাবস্তু নির্মাণে নবাব-বাদশা, রাজা-মহারাজা, জমিদার-ধনবানশ্রেণির নাম উঠে এসেছে। ওই ঐতিহাসিক নির্মাণ শৈলী সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের মধ্যেও পড়ে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় সংস্কারের অভাবে সেগুলি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মুখে। ফলে এক দিকে ইতিহাসের উপাদান নষ্ট হতে বসেছে, অন্য দিকে সাংস্কৃতিক দিকটিও পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও উপেক্ষিত রয়ে যাচ্ছে!
দেবতার জন্মের কাহিনি রয়েছে, এ বার পুনর্জন্মের অপেক্ষা। হুগলির গুড়াপ সেই অপেক্ষাতেই আছে। এক সময় জন্মাষ্টমীর রাতে গুড়াপ যেন জেগে উঠত বৃন্দাবন হয়ে। বর্ধমানের মহারাজের দেওয়ান রামদেব নাগের প্রতিষ্ঠিত নন্দদুলাল মন্দিরের প্রাঙ্গণ ভরে উঠত। এক পাশে দোলমঞ্চ, এক পাশে রাসমঞ্চ নিয়ে সেই মন্দির পরে হারিয়েই গেল স্মৃতি থেকে। এখন আবার নতুন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পালা।

এত দিন অবধি ইতিহাসের পাতায় আটকে ছিল বাল গঙ্গাধর টিলকের কণ্ঠস্বর। কিন্তু এ বার হয়তো সত্যিই তা শোনা যাবে। অন্তত সে রকমই আশা দেখাচ্ছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া একটি টেপ। টিলকের প্রপৌত্র দীপক টিলক জানিয়েছেন, ১৯১৫ সালে একটি গানের উৎসবে টেপ-বন্দি হয়েছিল টিলকের কণ্ঠস্বর। তা-ও কিছুটা কাকতালীয় ভাবেই। দীপকের দাবি, এই রেকর্ডটি আক্ষরিক অর্থেই ‘অদ্বিতীয়’। সম্প্রতি এটির সন্ধান মিলেছে করাচি থেকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সংরক্ষণটি করাচির বাসিন্দা শেঠ লক্ষ্মীচাঁদ নারঙ্গ নামে এক সঙ্গীতপ্রেমীর। ১৯১৫ সালে ২১ সেপ্টেম্বর গণেশ-উৎসব উপলক্ষে লক্ষ্মীচাঁদ পুণে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন আমেরিকায় তৈরি একটি রেকর্ডিং যন্ত্র। উদ্দেশ্য ছিল গণেশ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত একটি গানের অনুষ্ঠান রেকর্ড করা। এটি আয়োজন করা হয়েছিল কেসরী-ওয়াড়ায়। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন স্বয়ং বাল গঙ্গাধর টিলক। অনুষ্ঠানে জমায়েত অশান্ত জনতাকে শান্ত করার জন্য মাতৃভাষা মরাঠিতে বারবার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে গানের সঙ্গে এই কণ্ঠস্বর রেকর্ডটি নিয়ে করাচি ফিরে যান লক্ষ্মীচাঁদ। ৯৭ বছর পর সেটি খুঁজে বের করা গিয়েছে।

বিরলপ্রজাতির ৬০টি চোখ বিশিষ্ট ফ্ল্যাটওয়ার্মের খোঁজ পেলেন ব্রিটেনের জীববিজ্ঞানীরা। কেমব্রিজের কাছে একটি ঘাসে ঢাকা জমিতে প্রায় ১২ মিমি লম্বা নতুন এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফ্ল্যাটওয়ার্ম অমেরুদন্ডী প্লাটিহেলমিনথিস গোত্রভুক্ত প্রাণী যারা প্রধাণত মাটির কাছাকাছি থাকে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে এই প্রজাতির প্রাণী বেশি দেখা যায়। নিউজিল্যান্ড এমনিতেই বিচিত্র রকমের প্রাণিদের সহাবস্থানের জন্য পরিচিত। আবার বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এখানকার আবহাওয়া অনেকাংশে ব্রিটেনের আবহাওয়ার সঙ্গে মেলে। এর আগে উত্তর আয়ারল্যান্ডে ‘কোনটিকিয়া আন্ডারসোনি’ নামে ফ্ল্যাটওয়ার্মের কাছাকাছি এক প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেনে প্রাপ্ত ৬০টি চোখ বিশিষ্ট অতি ক্ষুদ্র এই ওয়ার্ম নিঃসন্দেহে জীববিজ্ঞানের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

দেশের মধ্যে এই প্রথম বার প্রবাল অরণ্য প্রতিস্থাপনের কাজ সফলভাবে সারা হল। লক্ষদ্বীপের আগাত্তি থেকে ‘অ্যাক্রোপোরা’ প্রবাল দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে গুজরাতের মিঠাপুরের সমুদ্র ও কচ্ছের রানে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দশকের ব্যবধানে ফের, সম্প্রতি কচ্ছ এবং মিঠাপুরের জলের তলায় বসতি বিস্তার শুরু করল ‘অ্যাক্রোপোরা’। গুজারাতের প্রধান মুখ্য বনপাল প্রদীপ খন্না জানান, গুজরাতে ‘অ্যাক্রোপোরা’র উপস্থিতি ক্রমেই কমে আসছে। কয়েক দশকের মধ্যে জীবিত ‘অ্যাক্রোপোরা’র দেখা মেলেনি এখানে। তাই প্রবাল অরণ্য ফিরিয়ে আনতে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউটিআই), গুজরাত ও লক্ষদ্বীপ বন বিভাগ এবং টাটা কেমিক্যালস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে প্রবাল প্রতিস্থাপনের উদ্যোগটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। জলজগতের বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে এবং সমুদ্রতলের প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতকে রঙিন করে তুলতে প্রবালের উপস্থিতি অপরিহার্য। ভারতের চারটি এলাকায় এই ধরনের প্রবাল অরণ্য রয়েছে— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লক্ষদ্বীপ, তামিলনাড়ুর মান্নার উপসাগর ও গুজরাতের কচ্ছ উপসাগর। কচ্ছের ‘ মেরিন ন্যাশনাল পার্ক’-এ ৪৯টি প্রজাতির প্রবাল রয়েছে।

গরম বাড়ছে। বিগত এক দশকে থার্মোমিটারের পারদ যে ভাবে চড়ছে, তার আঁচ থেকে ছাড় পায়নি উত্তর মেরুর তুন্দ্রাও। যা হয়েছে, তাতে চক্ষু চড়কগাছ বিজ্ঞানীদের। যেখানে গাছ নেই বললেই চলে, থাকলেও ছোট গুল্মজাতীয়, সেখানে ‘মাথাচাড়া’ দিচ্ছে বড় গাছ! সম্প্রতি ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ পত্রিকায় এই কথা প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে আইসল্যান্ড হয়ে ফিনল্যান্ড, তুন্দ্রার প্রায় এক ১ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে গবেষণা চালান ফিনল্যান্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতিবিদেরা। কিছুটা উপগ্রহের মাধ্যমে ছবি তুলে, কিছুটা তুন্দ্রার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে গবেষকেরা দেখেন উইলো, অল্ডারের মতো গাছগুলোর উচ্চতা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ২ মিটার বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তাপমাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি। তুন্দ্রার এই চেহারা বদল সংক্রান্ত মুখ্য গবেষক মার্ক মেসিয়াস-ফাউরিয়া বলেন, “অবিশ্বাস্য! এত দিন অনেকে মনে করতেন উত্তর মেরুর গাছপালাহীন বরফের উপত্যকা বদলে জঙ্গলে পরিণত হতে অন্তত একশো বছর দেরি। কিন্তু তুন্দ্রার এই পরিবর্তন ঘটেছে কয়েক দশকে।” তাঁর আশঙ্কা, বিশ্ব উষ্ণায়নে গোটা তুন্দ্রাই জঙ্গল হয়ে যাবে না তো!

কাটে না, চিবোয় না এমন এক ইঁদুর খুঁজে বের করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক দল গবেষক। প্রাণিজগতের নবতম সদস্য এই মূষিকটির খাদ্য শুধু কেঁচো। বাসস্থান ইন্দোনেশিয়ার স্যাঁতস্যাঁতে জঙ্গল। নাম রাখা হয়েছে পসিডেন্টোমিস ভার্মিড্যাক্স। বিজ্ঞানী দলটির দাবি ইঁদুরটি আক্ষরিক অর্থেই ‘অনন্য।’ ইঁদুর স্তন্যপায়ী প্রাণী। রোডেনশিয়া বর্গের অন্তর্ভুক্ত। ইঁদুর এবং এই বর্গের অন্য সদস্যদের বৈশিষ্ট্য মুখগহ্বরের সামনের দিকে দু’জোড়া (উপরে এক জোড়া এবং নীচে এক জোড়া) দাঁত ‘ইনসাইসর।’ এই চারটি দাঁত সব সময়ই বাড়তে থাকে। সর্বদা কিছু না কিছু চিবিয়ে সেটা ঠেকিয়ে রাখে এই বর্গের প্রাণীরা। আর এখানেই নিজের বর্গের অন্য ইঁদুরদের থেকে আলাদা পসিডেন্টোমিস। কারণ অন্যদের মতো এদের ইনসাইসরগুলি সরু, ধারালো নয়। বরং কিছুটা ভোঁতা ও খাঁজযুক্ত। সেগুলি সবসময় বাড়েও না। যার ফলে পসিডেন্টোমিস হয়ে উঠেছে আপাদমস্তক ‘সুবোধ!’ একটি ইঁদুর ধরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, খাবার চিবোনোর জন্য রোডেনশিয়া বর্গের অন্য সদস্যদের যে ‘পেষক’ দাঁত বা ‘মোলার’ থাকে সেগুলিও নেই পসিডেন্টোমিস-এর। পসিডেন্টোমিস-এর অর্থ ‘কম দাঁতওয়ালা ইঁদুর।’ আর ভার্মিড্যাক্স মানে ‘কেঁচো খায় এমন প্রাণী।’ ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটির ‘বায়োলজি লেটারস’-এ এই নতুন প্রাণীর কথা প্রকাশিত হয়েছে।

মণিপুরের লোকটাক সরোবরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেলেও পাখি সুমারিতে অন্তত তিনটি বিপন্ন প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লোকটাক সরোবরে পাখি সুমারি করা হয়েছিল। ২৪৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত লোকটাক সরোবর মাছের মতোই, পাখিদের জন্যও বিখ্যাত। বিখ্যাত সাঙ্গাই হরিণের জন্যও। তবে গত এক দশকে, সরোবরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। সরোবরের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য, বৃত্তাকার তৃণভূমি বা ‘ফুমদি’ও শেষ হওয়ার মুখে। এর আগে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থা পাখিদের নিয়ে সমীক্ষা চালালেও সরকারি উদ্যোগে লোকটাকে পাখি সুমারি এই প্রথম। সরোবরের জল ও ডাঙ্গা মিলিয়ে মোট ৫১টি প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে। যাদের মধ্যে ২২টি পরিযায়ী প্রজাতির। মোট নথিভুক্ত পাখির সংখ্যা ২৩,৫৬১টি। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, ইউনান প্রদেশের পাখির সন্ধানও মিলেছে লোকটাকে।

ঢাকা শহরের প্রায় ১০৩টি জাতীয় ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল বর্তমানে অবক্ষয়ের পথে। ১৭ শতকের খিলান বিশিষ্ট বড় ও ছোট কাটরা ঢাকা পড়ে গেছে পার্শ্ববর্তী বাড়ি-ঘর-দোকান-বাজারে। বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত এই দুই স্থাপত্য মোগোল সাম্রাজ্যের প্রতীকী। তবে বড় কাটরা চত্বরে একটি মাদ্রাসা সম্প্রসারণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর বেশ কিছুটা অংশ। আর ছোট কাটরায় গড়ে উঠেছে দোকান-হাট। ১৯ শতকের রূপলাল প্রমোদ ভবন এখন রসুনের গুদামঘর। ফরাসগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর দাবি, এই মহলের মালিক তিনিই! অস্তিত্ব নেই টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের।

মালদহের চাঁচলে রাজার আমলে তৈরি রাজবাড়ি লাগোয়া ঠাকুরবাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, এখন রাজা নেই। বিক্রি হয়েছে রাজবাড়ি। কিন্তু শুধু পুজোপাঠ নয় দেড়শো বছরের পুরনো মন্দিরকে ঘিরে মানুষের আবেগ সেই রাজার আমল থেকে একই রকম রয়েছে। কাগজেকলমে ওই ঠাকুরবাড়ির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ট্রাস্টির অধীন চাঁচল রাজ ট্রাস্ট এস্টেট। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জন্য সংস্কারের কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় তা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে মন্দির সংস্কারের জন্য পরিচালন সমিতি আগেই দ্বারস্থ হয় প্রশাসনের। এ বার ঠাকুরবাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবিতে সরব হলেন বাসিন্দারা। রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।

ইউনেসকো-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৩৬তম অধিবেশন হয়ে গেল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। ২৪ জুন থেকে ৬ জুলাই— প্রায় দু’সপ্তাহব্যাপী এই অধিবেশনে, অন্যান্য কর্মসূচীর সঙ্গে ব্রেজিলের রিও ডি জেনেইরো-র ভূচিত্রকে (landscapes) ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ লিস্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নাসারই গডার্ড স্পেস সেন্টার-এ মিলল ডাইনোসরের পদচিহ্ন। ১১ কোটি বছর আগের। এক শখের ডাইনোসর-সন্ধানীর এই দাবি খতিয়ে দেখছে নাসা।