|
লম্বা লোক হনহন করে হেঁটে গেলে প্রতিমা চোখে পড়বে কিনা সন্দেহ। এঁকেবেঁকে চলা অখিল মিস্ত্রী লেনটা যেখানে সবচেয়ে সরু, সেখানেই পূজার আয়োজন। একটি পুরান বাড়ির রোয়াকে দেবী দূর্গার আরাধনা চলছে।
নেই অনেক কিছু লাউড স্পীকার, ঢাকী, হৈচৈ। আর মোটা চাঁদার বহর। দশ-এগার বছরের ছেলে নিতাই। নিজ হাতে ঠাকুর গড়েছেদূর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ। অসুর, সিংহও বাদ নেই। দাঁড়িয়ে দেখবার মত ছোট্ট প্রতিমা।
কেউ তদ্বির করেনি। আমরাই ঘুরতে ঘুরতে হাজির হলাম। ছুটে এল এক ডজন ছেলেমেয়ে। তিন-চারজন কৌটোও বাজাল, রোয়াকে পুজোয় চাঁদা নেই। অনেকের পরনে নতুন জামা নেই। ক্যামেরা রেডি করতেই একজন আমার কাছে এগিয়ে এল, লাইটটা জ্বালিয়ে দেব দাদা।
সহকর্মী ফটোগ্রাফার বললেন, দরকার হবে না।
ওরা যেন একটু মুষড়ে গেল। দেখলাম, ওদের সম্বল মাত্র একটি বিজলী বাতি।
|
|