|
মহাষ্টমীর সকাল। ধুতি পাঞ্জাবী পরা আইনমন্ত্রীকে দেখা গেল উত্তর কলকাতার এক পূজা মণ্ডপে। পুষ্পাঞ্জলির জন্য তিনি দাঁড়িয়ে আছেন।
মাইকে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য ডাকতে না ডাকতেই আইন মন্ত্রীর হাতে ফুল-বিল্বপত্র।
মণ্ডপে জনৈক ব্যক্তি মন্তব্য করলেন, মায়ের আশীর্বাদ এবছর সবাগ্রে প্রয়োজন।
বিরোধী দল নেতা শ্রীজ্যোতি বসু পিছিয়ে নেই। সকাল এগারটার সময় তাকে দেখা যায় নিজে গাড়ি চালিয়ে ছুটছেন বরাহনগর-বেলঘরিয়া অঞ্চলে। লক্ষ্যস্থল আর কোথাও নয়, বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
জোড়াসাঁকো অঞ্চলে সকাল থেকে দেখা গেল আর একজন নির্বাচনী প্রার্থীকে। তিনি মায়ের কাছে অবাধ্য শিশুর মত পাঁচ বছরের ভুল, দোষ, ত্রুটি, অন্যায় এবারকার মত ক্ষমা করে ভোট বৈতরণী পার করে দেওয়ার জন্যে জোড় হাত করে অনুরোধ করে বললেন মা, তুমিইতো সব!
মনে হচ্ছে, অনেক প্রার্থীই বুঝে নিয়েছেন, মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টালিগঞ্জ বাস্তুহারা কলোনী অঞ্চলে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ছোটাছুটি করতে দেখা গেল কম্যুনিস্ট নেতা শ্রীনিরঞ্জন সেন গুপ্তকে। তিনি ঐ অঞ্চল হতে এবার নির্বাচন প্রার্থী।
প্রজা সমাজতন্ত্রী দলের অন্যতম প্রার্থী শ্রীসুনীল দাসকে দেখা যায়, বালীগঞ্জ অঞ্চলে পূজা মণ্ডপে ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে গল্প-গুজব করতে।
শ্যামপুকুর অঞ্চলে শ্রীহেমন্ত বসুকেও ব্যস্ত থাকতে হয়। একটি পূজা মণ্ডপে তিনি নাকি বলেই ফেলেছেন এবার হিন্দি গান মাইকে না বাজিয়ে ভালই করেছ। তা’ হলে আমাকেই এই নির্বাচনের বছর ঐ নিয়ে মূলতবী প্রস্তাব আনতে হত।
দুপুরে যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল ঠিক সেই সময় আর এস পি নেতা শ্রীযতীন চক্রবর্তীকে মুচিপাড়া এলাকায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে মহাষ্টমীর প্রসাদ বিতরণ করতে দেখা যায়।
|
|