৪ আশ্বিন ১৪১৮ বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১



  বোধন, শুধু উদ্বোধন




নিবার পঞ্চমী। এদিন বোধন নয়। বারোয়ারীর মণ্ডপে মণ্ডপে ওদিন শুধু উদ্বোধন। কোথাও বা মণ্ডপের ‘‘দ্বারোদ্ঘাটন”, কোথাও বা মূর্তির “আবরণ উন্মোচন”, কোথাও বা পর্দানসিন প্রদর্শনীর পর্দা মোচন। প্রধান পাত্রপাত্রী সসন্তান জননী দশভূজা নন। দুর্গতিনাশিনী আজ “এক্সট্রা”র ভূমিকায়। এ দিবসের প্রধান নায়ক “সভাপতি” ও “প্রধান অতিথি” মহাশয়গণ।

বলিতে বাধা নাই, কোন কোন ক্ষেত্রে সভাপতি ও প্রধান অতিথি মহাশয়রা এবার বোধ করি সরস্বতী পূজার ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছেন। এক বাড়ির পূজার শেষ হইতে না হইতেই যেন অন্য বাড়িতে ডাক পড়িতেছে। উত্তর কলিকাতার অন্তত পাঁচটি পূজামণ্ডপে এইদিন উদ্বোধন করিবার বায়না লইয়া কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী শ্রীঅশোককুমার সেন মহাশয়কে তৎপরতার সহিত ছোটাছুটি করিতে দেখা গিয়াছে। খাদ্যমন্ত্রী শ্রীপ্রফুল্ল সেন, শ্রীঅতুল্য ঘোষেরও বিশ্রাম ছিল না। কম্যুনিস্ট ব্যারিস্টার শ্রীস্নেহাংশু আচার্যকেও একটি পূজামণ্ডপের দ্বারস্থ হইতে হইয়াছে। ত্রৈলোক্য মুখুজ্যের ডমরুধর একবার বলিয়াছিলেন, “এই দুর্গাপূজাকে সামান্য জ্ঞান করিও না। এই পূজায় যে মাতে তাহার কিছু না কিছু লভ্য হয়ই হয়।”

এই ঘোর কলিতে মাতা জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপে ভোটদাতাদের ভর হইয়াছে। তাই নির্বাচনী বৈতরণী পার হইতে গেলে “দুর্গাপূজাকে সামান্য জ্ঞান” করিলে চলে না। তাই মার্ক্সবাদীকেও মাতার চরণ স্মরণ করিতে হয়। বোধনে না থাকিলেও চলে, কিন্তু উদ্বোধনে না গেলে?— বাপরে!

ও ত গেল পলিটিক্যাল ভি আই পিদের কথা। টানাটানি শুরু যে এই ভি আই পিদের লইয়াই হইয়াছে তাহা নহে। ডাক্তার, কবিরাজ, অভিনেতা, অধ্যাপক, শিক্ষক, সাংবাদিক উদ্বোধনের পালা গানের আসরে বাদ কাউকেই দেওয়া হয় নাই এবং উপরোধের ঢেঁকি অনেককেই গিলিতে হইয়াছে।



ফিরে দেখা...

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যা

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.