৪ আশ্বিন ১৪১৮ বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১




বঙ্গসংষ্কৃতির রূপ


 

বার পুজোয় আরও একটি বিশেষত্ব লক্ষণীয়। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিনই অনুষ্ঠানের অন্ত নেই।

প্রায় প্রত্যেকটি সর্বজনীন মণ্ডপে আরতির ঘটা পার হলে নানা ধরনের অনুষ্ঠান বসেছে ও বসছে। মোটামুটি হিসেবে জানা গেছে, কলকাতা ও হাওড়ায় যত পুজো হয় তার বেশির ভাগ মণ্ডপে হচ্ছে নাট্যানুষ্ঠান। গানের জলসা বসেছে ষষ্ঠীর দিন তেরো, সপ্তমীতে উনিশ, অষ্টমীতে এগারো।

বাঙলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতিও সম্প্রতি বাঙালীর শ্রদ্ধাশীলতা লক্ষ্য করার বিষয়। কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ষষ্ঠীর দিন যাত্রা হয়েছে আটটি। সপ্তমীতে একুশ, অষ্টমীতে সাতাশ। বাটানগরে এবার ষষ্ঠী থেকে একাদশী ৬ দিন ধরে যাত্রা হচ্ছে। বাগবাজার, ভবানীপুরেও যাত্রার আসর বসেছে অন্যান্যবারের তুলনায় তিনগুণ। এছাড়া পদাবলী কীর্তন, চণ্ডী-স্তোত্রের আসর, কবিগান, বিচিত্রানুষ্ঠান এবং তরজাও হচ্ছে একাধিক আসরে।

কিন্তু সকল অনুষ্ঠান ছাপিয়ে উঠেছে নাটকাভিনয়। ষষ্ঠীর দিন বালী থেকে সোনারপুর এবং হাওড়া থেকে বেলেঘাটা-এর মধ্যে নাটকাভিনয় হয়েছে বত্রিশটি। সপ্তমীতে সাতচল্লিশ। অষ্টমী নবমীতে এর সংখ্যা আরও বেশী। দক্ষিণেশ্বর এলাকায় দু’টি পূজা-মণ্ডপে নাটক প্রতিযেগিতা চলছে। মধ্য কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতায় একাংক নাটক প্রতিযোগিতা হচ্ছে ৫টি (যতদূর সম্ভব সন্ধান নিয়ে এ খবর জানা গেছে, আসলে হয়তো প্রত্যেক অনুষ্ঠানই এর চেয়েও অনেক বেশি হয়েছে)।


ফিরে দেখা...


রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যা

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.