|
এবার পুজোয় আরও একটি বিশেষত্ব লক্ষণীয়। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিনই অনুষ্ঠানের অন্ত নেই।
প্রায় প্রত্যেকটি সর্বজনীন মণ্ডপে আরতির ঘটা পার হলে নানা ধরনের অনুষ্ঠান বসেছে ও বসছে। মোটামুটি হিসেবে জানা গেছে, কলকাতা ও হাওড়ায় যত পুজো হয় তার বেশির ভাগ মণ্ডপে হচ্ছে নাট্যানুষ্ঠান। গানের জলসা বসেছে ষষ্ঠীর দিন তেরো, সপ্তমীতে উনিশ, অষ্টমীতে এগারো।
বাঙলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতিও সম্প্রতি বাঙালীর শ্রদ্ধাশীলতা লক্ষ্য করার বিষয়। কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ষষ্ঠীর দিন যাত্রা হয়েছে আটটি। সপ্তমীতে একুশ, অষ্টমীতে সাতাশ। বাটানগরে এবার ষষ্ঠী থেকে একাদশী ৬ দিন ধরে যাত্রা হচ্ছে। বাগবাজার, ভবানীপুরেও যাত্রার আসর বসেছে অন্যান্যবারের তুলনায় তিনগুণ। এছাড়া পদাবলী কীর্তন, চণ্ডী-স্তোত্রের আসর, কবিগান, বিচিত্রানুষ্ঠান এবং তরজাও হচ্ছে একাধিক আসরে।
কিন্তু সকল অনুষ্ঠান ছাপিয়ে উঠেছে নাটকাভিনয়। ষষ্ঠীর দিন বালী থেকে সোনারপুর এবং হাওড়া থেকে বেলেঘাটা-এর মধ্যে নাটকাভিনয় হয়েছে বত্রিশটি। সপ্তমীতে সাতচল্লিশ। অষ্টমী নবমীতে এর সংখ্যা আরও বেশী। দক্ষিণেশ্বর এলাকায় দু’টি পূজা-মণ্ডপে নাটক প্রতিযেগিতা চলছে। মধ্য কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতায় একাংক নাটক প্রতিযোগিতা হচ্ছে ৫টি (যতদূর সম্ভব সন্ধান নিয়ে এ খবর জানা গেছে, আসলে হয়তো প্রত্যেক অনুষ্ঠানই এর চেয়েও অনেক বেশি হয়েছে)।
|
|