ব্রিটিশ আমল থেকেই লালবাজার কলকাতা পুলিশের প্রাসাদোপম সদর দফতর। কিন্তু রাজ্যের বাকি বিশাল অংশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব যাঁর কাঁধে, রাজ্য পুলিশের সেই ডিরেক্টর জেনারেলকে কাজ সামলাতে হতো মহাকরণে বসে। কারণ, এত দিন রাজ্য পুলিশের নিজস্ব কোনও বাড়িই যে ছিল না।
এত দিনে সেই অভাব মিটল। আলিপুরের ভবানী ভবনকেই সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য পুলিশের নিজস্ব বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে এক ছাদের তলায় এনে কাজ শুরু হয়ে গেল এ দিনই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য পুলিশের পরিকাঠামোগত উন্নতির প্রথম ধাপ তার নিজের একটা বাড়ির ব্যবস্থা করা। পরে ধাপে ধাপে পরিকাঠামোর আরও উন্নতি হবে।
পাঁচতলা ভবানী ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় এখন রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের সদর দফতর রয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, ওই বাড়ির একতলা, দোতলা ও তেতলায় পুলিশ ডিরেক্টরেটের আটটি শাখার অফিস তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় গত বছরের নভেম্বরে। সেখানে সংখ্যালঘু ও পূর্ত দফতর, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন-সহ বেশ কিছু সংস্থার অফিস ছিল। দু’মাসের মধ্যে সেই সব অফিস অন্যত্র সরিয়ে পুলিশের সদর দফতরের জন্য জায়গা বার করেছে পূর্ত দফতর।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা পুলিশের তবু পরিকাঠামো রয়েছে। নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। রাজ্য পুলিশ তো এত দিন বঞ্চিতই ছিল। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টরেট এ বার এখান (ভবানী ভবন) থেকেই কাজ করবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কার্যালয় থাকবে। ডিজি নবান্নে তো থাকবেনই। সেই সঙ্গে দিনে ঘণ্টা দুয়েক ভবানী ভবনের দফতরেও বসবেন তিনি। |