লক্ষ্য একটাই, কর্মসংস্থান। সেটা হতে পারে বিভিন্ন শিল্প সংস্থায়। আবার হতে পারে হরেক কিসিমের স্বনিযুক্তি প্রকল্পেও। এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের তরুণ-তরুণীদের বহুমুখী কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দিতে বণিকসভা ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফিকি-র সঙ্গে চুক্তি করছে কারিগরি শিক্ষা দফতর।
ফিকি-র সহযোগিতায় ওই বহুমুখী কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি রূপায়ণের প্রস্তাব সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। ফিকি-র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে বহুমুখী দক্ষতা বৃদ্ধির ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি তৈরি হবে। সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার ওই কর্মসূচি রূপায়ণে ফিকি-কে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত সহযোগিতা জোগাবে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য উপযোগী জায়গারও সংস্থান করবে। সেই জন্য বর্ধমানে একটি জায়গার কথা ইতিমধ্যেই ভাবা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ব্যয়ের অধিকাংশই জোগাবে রাজ্য সরকার।
আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রতি বছর এক হাজার করে পাঁচ বছরে মোট পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীকে ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন এবং সেই প্রশিক্ষণ পাওয়ার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে, চুক্তিতে তার উল্লেখ থাকবে।
কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের যে-প্রকল্প রয়েছে, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রয়োজন অনুযায়ী তারও সাহায্য নেওয়া হবে। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের প্রস্তাব অনুসারে প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে একটি বড় অংশকে বণিকসভাটির শরিক বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় হাতে-কলমে তালিম দেওয়া হবে। তার পরে উপযুক্ত বলে মনে হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলতে পারে। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষিতেরা যাতে স্বনিযুক্তির পথে এগোতে পারেন, প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হবে সেটাও। |