|
|
|
|
স্বচ্ছতার দাবি দলে, চাপের মুখে অরবিন্দ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৪ ফেব্রুয়ারি |
দুর্নীতি নয়, চাই স্বচ্ছতা। দলের নেতা বরাবর সে কথাটাই বলে এসেছেন। অথচ নেতাই তাঁর দেখানো পথে চলছেন না বলে অভিযোগ।
লোকসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে না বলে আম আদমি পার্টির মধ্যে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সমালোচনার মুখে পড়েছেন দলের সর্বেসর্বা অরবিন্দ কেজরীবাল। তিন দিন ধরে দিল্লিতে তাঁর দফতরের সামনেই অনশনে বসেছেন আম আদমি পার্টির কর্মীরা। তাঁদের দাবি, লোকসভার প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। গুটিকয়েক নেতা মিলে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
অথচ এই কেজরীবালই স্বচ্ছতার কথা বলেছেন, সরকার গড়ার সময়ও দিল্লি চষে বেড়িয়েছেন, মানুষের রায় নিতে। ধর্না-আন্দোলন-অনশনের পথে দাবি আদায়ের সফল রসায়ন পেশ করেছেন জনতার সামনে। আর আজ সেই অস্ত্রে ধরাশায়ী হতে হচ্ছে তাঁকেই।
যাঁরা কেজরীবালের দফতরের সামনে অনশনে বসেছেন, তাঁদের এক জন শিপ্রা সাহা। আম আদমি পার্টির জন্মলগ্ন থেকে ঘাম ঝরিয়েছেন কেজরীবালের সঙ্গে। কিন্তু দেড় মাসের সরকার পেরিয়ে কেজরীবালের মতিগতি দেখে তিনিও ক্ষুব্ধ। বলছেন, “এক বছর ধরে পরিশ্রম করে দল গড়তে সাহায্য করেছি। আজ নেতারা আমাদের চাকর-বাকর মনে করেন।”
গোটা বিষয়টি কেজরীবালের নজরে আসেনি, তা নয়। গতকাল দিল্লির বাইরে প্রথম জনসভা করেছেন হরিয়ানায়। তার আগেই বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে শান্ত করার জন্য দলের নেতা গোপাল রাইকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে তুমুল বিতণ্ডা শুরু হয় দলের কর্মী ও নেতার মধ্যে। অবশেষে রেগেমেগে গোপাল রাই বলে যান, “অনশনে বসতে হলে বসে থাকুন ছ’মাস ধরে। যদি সন্ধি না হয়, তাহলে বিচ্ছেদই সই।” বিক্ষুব্ধরা বলছেন, “রাতারাতি যেন মালিক হয়ে গিয়েছেন নেতারা। নিজের ঘোষিত নীতি থেকেই এখন সরে যাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরীবাল।” |
|
|
|
|
|