|
|
|
|
আপাতত স্থগিত হয়ে গেল গ্যাস ধর্মঘট
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
আজ, মঙ্গলবার থেকে দেশ জুড়ে রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট হচ্ছে না। সোমবার তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘটী দুই সংগঠন জানিয়েছে, তেল সংস্থাগুলি তাদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছেন।
গ্যাসের বিপণন নীতি সংশোধন সহ বিভিন্ন দাবিতে আজ থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন ও ফেডারেশন অব এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স অব ইন্ডিয়া। এ দিন তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম ও ভারত পেট্রোলিয়ামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টররা। সেখানেই তেল সংস্থার কর্তারা আশ্বাস দেন, গ্যাসের বিপণন নীতি নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের অভিযোগের সঙ্গে অন্য দাবিগুলি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তাতে তেল সংস্থার পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রতিনিধিও থাকবেন। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট দেবে। এর পরই এ দিন সন্ধ্যায় ওই দুই সংগঠনের কর্তা পবন সোনি ও প্রতাপ দোশি গ্রাহক স্বার্থে ধর্মঘট স্থগিত রাখার কথা জানান।
এর আগে এ দিন দুপুরে তৃণমূল ভবনে এ রাজ্যের ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। পরে জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান, বৈঠকে মুকুলবাবু বলেন যে তাঁরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিবিউটরদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন।
তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিতে মুকুলবাবু চিঠিও দেবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অনুরোধ করেন, রাজ্য ডিস্ট্রিবিউটরদের সমব্যথী। মাধ্যমিক পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা যদি ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন, তা হলে ভাল হয়। ডিস্ট্রিবিউটরেরা অবশ্য জানান, এটি জাতীয় সিদ্ধান্ত। ফলে আলাদা করে তাঁদের কিছু করার নেই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তেল সংস্থাগুলির আশ্বাসে ধর্মঘট তুলেই নিলেন ডিস্ট্রিবিউটরেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে রোজ গড়ে দু’লক্ষের মতো সিলিন্ডার গ্রাহকদের সরবরাহ করেন ডিস্ট্রিবিউটরেরা। বিভিন্ন কারণে এমনিতেই এখন গ্যাস বুক করার পরে তা পেতে কমপক্ষে ১০-১৫ দিন দেরি হচ্ছে। এর উপর ধর্মঘট হলে সমস্যা আরও বাড়ত বলেই আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। |
|
|
|
|
|