হিমঘরে আলু রাখা নিয়ে স্থানীয় সমবায়ে ফের বিক্ষোভ দেখালেন বোলপুর মহকুমা এবং সংলগ্ন এলাকার বহু আলু চাষিরা। সোমবার সকালের ঘটনা। এতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হিমঘরের একটি জানলা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে এলাকায় যান বোলপুরের এসডিপিও সূর্যপ্রতাপ যাদব। পুলিশের আশ্বাসে হিমঘর চত্বর থেকে বেরিয়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর মহকুমার আলু চাষিদের জন্য ওই থানার মুলুক এলাকায় উত্তর অজয় কৃষক সমবায় হিমঘর রয়েছে। ৬০ হাজার প্যাকেট ওই হিমঘরে রাখা যায়। আলু চাষিদের একাংশের অভিযোগ, হিমঘর কর্তৃপক্ষ বেআইনি ভাবে ব্যবসায়ীদের আলু রাখার সুযোগ করিয়ে দেওয়ায় সেখান ধারণ ক্ষমতা ফুরিয়ে গিয়েছে। কৃষক বাবলু মণ্ডল, মানস দাস, সোমনাথ ঘোষদের অভিযোগ, “একে আলুতে ধসা রোগ। তার উপরে আমরা যা খরচ করেছি তার ফল পাচ্ছি না। আবার হিমঘরে রাখার জায়গা নেই। আমরা কী করব?”
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই হিমঘরের সভাপতি সুভাষ ঘোষ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেন, হিমঘরের ধারণ ক্ষমতা শেষ হওয়ায় আর বণ্ড দেওয়া হবে না। ওই বিজ্ঞপ্তি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আলুচাষিরা। ২০ ফেব্রুয়ারিও বন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আলু চাষিরা। |
অবশ্য চাষিদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই হিমঘর কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার তপন সাঁই বলেন, “শুধু মাত্র এই এলাকার আলু চাষিদের জন্য এই হিমঘরের পরিকল্পনা। সেই ১৯৭৭ সাল থেকে। কিন্তু বর্তমানে বোলপুর মহকুমা তো বটেই, লাগোয়া সাঁইথিয়া, পাড়ুই-সহ বেশ কয়েকটা থানা এলাকা থেকে চাষিরা বন্ড নেওয়ার জন্য আসেন। কিন্তু আমাদের ধারণ ক্ষমতার বাইরে আমরা কী করতে পারি। এই হিমঘরের অংশীদারদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বাধিক ৬০ প্যাকেট ধার্য করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বাধিক ৩০ প্যাকেট রাখার জন্য ধার্য করা হয়েছে। কোনও ব্যবসায়ীকে এই হিমঘরে আলু রাখার জন্য কোনও বন্ড দেওয়া হইনি।”
|
সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |