প্রতি ঘরে শৌচাগার, আমাদের অঙ্গীকার
শুদ্ধ রাখব পরিবেশ, নির্মল হবে মোদের দেশ।
এমনই শৌচাগার, পরিস্রুত পানীয় জল, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সংক্রান্ত নানা বুলি আওড়ে গ্রামে ঘুরে বেড়াছেন কচিকাঁচার দল। ঘটনা হল সম্প্রতি রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নির্মল ভারত অভিযান কর্মসূচির সফল রূপায়ণ এবং বাস্তবায়িত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। ওই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের অন্য জেলার মতো বীরভূমেও শুরু হয়েছে এই বিষয়ক নানা কর্মসূচি। বোলপুর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ৯টি পঞ্চায়তেও একই সময়ে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সোমবার বোলপুর ব্লকের রূপপুর পঞ্চায়তের বিনুড়িয়া গ্রামে হয়ে গেল এমনই এক সচেতনতা প্রচার অভিযান। বোলপুরের বিডিও শমিক পানিগ্রাহি এবং যুগ্ম বিডিও শেখর সাঁই-এর উদ্যোগে ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের পড়ুয়াদের নিয়ে এই প্রচার অভিযানে নামে তারা।
বিনুড়িয়া সুমিত্রা বালিকা বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি মজুমদার বলেন, “আমরা পড়ুয়াদের নখ কাটা থেকে শুরু করে পোশাক পরিষ্কার রেখে স্কুলে আসার কথা বলি। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য বিধি-সহ নানা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তাদের এবং অভিভাবকদের বলা হয়। কিন্তু ওই পড়ুয়ারা তাদের বাড়িতে গিয়ে বা গ্রামে গিয়ে পরিস্রুত পানীয় জল, শৌচাগার-সহ পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যদি অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের জানায়, তাহলেই উদ্দেশ্য সফল হবে বলে মনে করি।” বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকে ৩১ হাজার ৪৩৬টি শৌচাগার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে ব্লক প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ২৩ হাজার ৪১৬টি শৌচাগার হয়েছে। বাকি রয়েছে ১২ হাজার ১২২টি। বোলপুরের বিডিও শমিক পানিগ্রাহি বলেন, “মহাত্মাগাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা ও নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্পের যৌথ আর্থিক সহায়তায় এই শৌচাগার প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের বিশেষ করে সমস্ত বিপিএল তালিকভুক্ত এবং তফসিলি জাতি উপজাতি, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষি পরিবারের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” |