উত্তরের চিঠি
 
সিলেবাস শেষ, তাই স্কুলে অনীহা
প্রশ্ন করতে জনৈক শিক্ষক বলেন, ফিজিক্স ব্যাচ থেকে আমার ছ’ হাজার পেলেই হবে। বাড়ি এসে পড়াব। এখন আপনি আপনার মেয়েকে পড়াবেন নাকি আর দশ জনের সেই ব্যাচে পড়াবেন, সেটা আপনার মর্জি। আমার ওই ছ’ হাজার হলেই চলবে। এর পর অভিভাবকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ছাত্রী-সংখ্যা বেশি মানেই শিক্ষকের কেয়ারটা বেশি দিকে ছড়িয়ে পড়বে। আর তাই অভিভাবকই পাঁচ জন ছাত্রী জোগাড় করে দিলেন। মানে ভাগে বারোশো আর কী? কোনও বেকার ছেলে নয়, এই নাটকের নায়ক এক নামী স্কুলের শিক্ষক। এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার জানালেন, কোনও এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নাকি ছ’মাস পর বেতনের টাকা তোলেন এবং ফিক্সড ডিপোজিট করে দেন স্যালারি অ্যাকাউন্টে। আবার এক জন শিক্ষক ভোর ছ’টায় ঘুম ভাঙার পর ছ’টা থেকে সাতটা, সাতটা থেকে আটটা, আটটা থেকে ন’টা তিন ব্যাচ বাড়ি গিয়ে পড়ানোর পর কুড়ি মিনিটে স্নান-খাওয়া সেরে ৫০ কিমি দূরের স্কুলে যাওয়ার বাস ধরেন। এর পর সাড়ে তিনটায় ফিরে এসে আবার রাত ন’টা পর্যন্ত লাগাতার টিউশন। আবার এও শুনেছি শহরের এক নামী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে অনুরোধে করেছেন, মাধ্যমিকের পর নিজের স্কুল না ছাড়ার। অনেকে আবার আছেন দুস্থ ক্যাম্পগুলিতে বিনা পয়সায় পড়িয়ে চলেছেন বছরের পর বছর। অনেক টাকার অফার আসার পর অবলীলায় অভিভাবকদের প্রত্যাখ্যান করেছেন তাঁরা। এঁরা নমস্য।
সমীক্ষা বলছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি পাঁচ জন ছাত্রের চার জনই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যায়। আর তাই দিনে দিনে স্কুলের খাতায় নাম থাকা আর সত্যিই লেখপড়ার শেখার মধ্যে সম্পর্ক ক্ষীণ হয়ে আসছে। আর সরকারি পাকা চাকরিতে দৃশ্যত শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা বাড়ায়নি। প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রের ভাষাগত প্রভেদ থাকলেও শিক্ষার মানে তার প্রভাব পড়েই। তাই দেখা গিয়েছে, কেরলে যেখানে ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বেসরকারি স্কুলে পড়তে যায় সেখানে বাংলায় তা মাত্র ৭ শতাংশ। এ রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলির বেহাল দশা অনেক বেশি। কেননা গৃহশিক্ষক নির্ভরতার চড়া হার এই স্কুল ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার প্রকাশ। সমীক্ষায় দেখা যায়, এ বছর রাজ্যে স্কুল-ছুটের সংখ্যা কমেছে। সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৯৭ শতাংশ ছাত্রের নাম লেখানো আছে স্কুলের খাতায়। কিন্তু পড়ুয়ারা আগের চেয়ে স্কুলে আসা কমিয়েছে। পাঁচ বছর আগে ক্লাসে গিয়ে দেখা গিয়েছিল ৬৫ শতাংশ পড়ুয়াকে। কিন্তু এ বছর ৫৯ শতাংশকে দেখা যায়নি। আগের চাইতে বেশি স্কুলে মিড-ডে মিল চালু হয়েছে। শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থাও হয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও শিশুরা স্কুলে আসার আগ্রহ হারাচ্ছে কেন? এর কারণ অবশ্যই শিক্ষকদের অনাগ্রহ। শিশুদের উপযুক্ত করার জন্য শিক্ষকদের নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু ক্লাসের সব ছাত্র অঙ্ক, বাংলা সঠিক ভাবে শিখল কি না, তা কনফার্ম না হবার আগেই শিক্ষক বাধ্য হয়ে পাঠ্যবই শেষ করে দেন। কারণ পরীক্ষা কড়া নাড়ছে। এখানে শিক্ষকরাও অপারগ। শিক্ষার এই দশা, স্কুলে ছাত্রদের নির্ভরতা হারানোর দায়ভার শুধু শিক্ষকেরই নয়, অভিভাবকদেরও।
গোসানিমারির রাজপাট
দিনহাটা মহকুমার অনতিদূরে অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান হল গোসানীমারী। প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় অবস্থিত হওয়ার দরুন এটি আজও চূড়ান্ত অবহেলিত। একসময় এখানকার রাজপাট এলাকার গৌরব ছিল। আজ শুধুই মাটির ঢিবি। বর্তমানে গরু চড়ানোর অন্যতম স্থান। প্রায় এক দশকেরও আগে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে খননের কাজ শুরু হয়েছিল। তখন রাজ আমলের বহু পুরোনো সামগ্রীও সেখানে পাওয়া যায়। কিন্তু তার পর হঠাৎই খননের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এই গোসানীমারী সংলগ্ন এলাকাতেই বৃহত্তম কামতেশ্বরী ঠাকুরানির মন্দিরও অবস্থিত। যা পাঁচ শতাধিক বছরের পুরোনো। এটিও অবহেলা আর উপেক্ষার শিকার। এই অবস্থার পরিবর্তন কি সম্ভব? এতে শুধু গোসানীমারিই নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হবে গোটা মহকুমা। এতদঞ্চলের মানুষের এই গর্বের রাজপাট ও কামতেশ্বরী মন্দিরের যাতে সুষ্ঠু ভাবে সংস্কার ও উন্নয়ন হয়, তার জন্য বাংলার নতুন সরকারের কাছে আবেদন রাখছি।
হলদিবাড়ির সমস্যা সমাধান চাই

আঙুলদেখায় কমলাকান্ত হাইস্কুল মাঠের উপর খুঁটি দিয়ে গেছে বিদ্যুতের তার। খুবই নীচ দিয়ে যাওয়ায় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। স্কুলের শিক্ষক আর শিক্ষিকা-সহ ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষুব্ধ।

হলদিবাড়ি স্টেশনের অনেক যাত্রী বাধ্য হচ্ছেন টিকিট না কেটে উঠতে। যাত্রী অনুপাতে কাউন্টার কম। একটি কাউন্টার যাত্রী চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। অজ্ঞাতকারণে একটি বন্ধ। এখানে কম পক্ষে তিনটি কাউন্টার জরুরি।
বড়েরডাঙ্গা মোড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এখানে পঞ্চাশের বেশি দোকান। সমস্যায় ক্রেতা-সহ দোকানদারেরাও।

বিপিএল তালিকাভুক্তদের বাড়িতে সরকার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এতে যে মিটার দেওয়া হয়, তাদের অধিকাংশের মিটারের দু’ বছর না হতেই অকোজো হয়ে গেছে।

হলদিবাড়ি রেলগেট সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে শুয়োরের মাংস বিক্রি হচ্ছে। কেউ নাকে রুমাল দিয়, কেউ চোখ বন্ধ করে পারাপার হচ্ছে।

হলদিবাড়ি-দেওয়ানগঞ্জ, হলদিবাড়ি -বেলতলি রোডে যে সমস্ত যাত্রিবাহী ছোট গাড়ি চলছে, সেগুলি প্রত্যেকটিই ওভারলোড হয়ে চলছে। গাড়ির ছাদে, পাদানিতে যাত্রীরা যাতায়াত করছে।

ব্লকের এমন কোনও মোড় নেই যেখানে সন্ধ্যা হলেই বেআইনি মদের আসর বসে না। এর মধ্যে আঙ্গুলদেখা মোড় বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।

এ সবের সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনও উদ্যোগ নেই। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।






First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.