বিক্ষুব্ধদের ঘরে ফিরিয়ে পঞ্চায়েত পেল তৃণমূল |
ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরিয়ে পাত্রসায়রের আরও একটি পঞ্চায়েত লাভ করল তৃণমূল। সেই সঙ্গে তৃণমূল আরও দু’টি পঞ্চায়েতে নিজেদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে নিল।
এক সময় তৃণমূলের কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনটি পঞ্চায়েতের মোট ১৩ জন নির্দল সদস্য বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বীরসিংহ পঞ্চায়েতের ন’টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন ছিল নির্দলদের। তাঁরা এত দিন ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিলেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই পঞ্চায়েতটি তৃণমূল লাভ করল। এর জেরে পাত্রসায়রের ১০টি পঞ্চায়েতের সব ক’টিই তৃণমূলের হয়ে গেল। বীরসিংহের সদস্যদের সঙ্গেই পাত্রসায়র পঞ্চায়েতের পাঁচ এবং বিউর-বেতুর পঞ্চায়েতের এক জন নির্দল সদস্য ওই দিন তৃণমূলে যোগ দেন। ওই দু’টি পঞ্চায়েত আগেই তৃণমূলের দখলে থাকলেও, এ বার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সংখ্যা বেড়ে গেল।
ওই ১৩ জনের মধ্যে বীরসিংহের ন’জন এবং বিউর-বেতুর পঞ্চায়েতের এক সদস্য নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের হারিয়েছিলেন। পাত্রসায়রের ওই পাঁচ জনও দলের প্রতীক পাননি। তবে বিপক্ষে কেউ না থাকায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতীক বিলির সময় দলের আদি কর্মীদের বঞ্চিত করে স্থানীয় এক নেতা তাঁর পেটোয়া লোকদের প্রতীক দিয়েছিলেন। তবে মানুষ নির্দল হলেও ওই যোগ্য প্রার্থীদেরই জিতিয়েছিলেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন।” বীরসিংহ পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা মুর্মু বলেন, “সাধারণ মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে এলাকার উন্নয়নে সামিল হতে আমরা তৃণমূলে যোগ দিলাম।” |
জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতর ও সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিন পুরুলিয়া বি.এড কলেজের প্রেক্ষাগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শমিতা মান্না। তিনি আজকের প্রেক্ষাপটে মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধা করার কথাও তিনি এ দিন মনে করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উপ-আধিকর্তা সিদ্ধার্থ বসু, শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ উজ্জ্বলকুমার পাণ্ডা প্রমুখ। অন্যদিকে এ দিন সকালে পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে ঋষি নিবারণ চন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে ভাষা শহিদ স্মারক সমিতির পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। পুলিশ জানায়, মৃত বাসি হাঁসদার (৬০) বাড়ি রঘুনাথপুর থানার মুচনাপাড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আগুন পোহানোর সময়ে পুড়ে যান তিনি। শুক্রবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। |