খেতমজুরদের পাট্টা দেওয়া জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান উত্তম গড়াই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েত এলাকার বেশকিছু ভূমিহীন মানুষজন দীর্ঘদিন আগে কয়েক শতক করে জমি পাট্টা পেয়েছিলেন। ওই জমি পাওয়ার বেশ কিছুদিন ধরে তারা চাষও করেছিলেন। কিন্তু গত ১৫-১৬ বছর ধরে ওই জমিতে চাষ করতে পারতে পারছেন না বলে অভিযোগ মাধব মাল, সুবোধ মাল ও দুলু মালের পরিবারের। তিন জনেরই বাড়ি উপপ্রধান উত্তমবাবুর গ্রাম দেড়িয়াপুরের বৈদ্যপুরে। তাঁদের অভিযোগ, “যে সময় আমরা পাট্টা পেয়েছিলাম, তখন উত্তমবাবু দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন। তিনি ভয় দেখিয়ে ওই জমি কেড়ে নেন। সেই সময় ভূমি দফতর-সহ সর্বত্র জানিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। ফের সাঁইথিয়া ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে জানাই। গত ১৬ জানুয়ারি আমোদপুর ব্লক অফিসে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে বিডিও ছাড়াও ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, সাঁইথিয়ার ওসি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের সামনে উত্তমবাবু জমি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কথা না রাখায় ফের ভূমি সংস্কার আধিকারিককে জানিয়েছি।” তাঁদের দাবি, “শুধু জমি নয়, জমির কাগজপত্রও হাতিয়ে নিয়েছেন। আমাদের জমি ছাড়াও দু’টি সরকারি পুকুরও দখল করে মাছ চাষ করছেন।”
উপপ্রধানের দাবি, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। জমি দখল করার কোনও প্রশ্নই নেই। ওঁদের কিছু কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। সে সব ফেরত দিয়ে দেব বলেছি।” তবে সাঁইথিয়ার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক পার্থপ্রতিম সাহা বলেন, “৫ সদস্যের কমিটির কাছে জমি ও কাগজপত্র ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন। এখনও জমি ফেরত দেননি বলে ওই লোকগুলি অভিযোগ করেছেন। শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।” সরকারি পুকুর দখল করে মাছ চাষ করার প্রশ্নে ওই আধিকারিক বলেন, “তাঁকে ওই পুকুরে মাছ ধরতে ও মাছ ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিডিও, এসডিও এবং থানায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
টিভি চুরি। দরজা ভেঙে টিভি চুরি হয়েছে হেতমপুর গ্রামের একটি ক্লাবে। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। ওই ক্লবের সদস্যদের দাবি, এর আগেও একই ভাবে হেতমপুরের বিভিন্ন ক্লাবে টিভি চুরি হয়েছে। কিন্তু কোনও ঘটনারই কিনারা হয়নি। সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |