নিখোঁজ মা ও মেয়ের বস্তা বন্দি পচা গলা দেহ উদ্ধার করেছে বারাবনি থানার পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ওই থানা এলাকার গৌরান্ডি লাগোয়া জঙ্গল ঘেরা একটি পরিত্যক্ত খাদান থেকে দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ দুটি শকুন্তলা বাউরি (২৫) ও তাঁর পাঁচ মাসের মেয়ের। গত ৯ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা।
ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ের নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশ আগেই মহিলার স্বামী কিশোর বাউরিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি জেরায় নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের করার কথা স্বীকারও করেছে ধৃত। খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার দেহ দুটি উদ্ধারের পরেই এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পুলিশ জিপের কাচও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে গৌরাণ্ডি সংলগ্ন ছাতাডাঙা এলাকার বাসিন্দা শকুন্তলা বাউরির সঙ্গে অলিগঞ্জের কিশোর বাউরির বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে শকুন্তলাদেবী আচমকা নিখোঁজের হয়ে যাওয়ায় খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করেন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি কিশোর বাউরিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতও হয়। পুলিশের দাবি জেরায় সে স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার কথা স্বীকারও করে। এরপরেই তাকে নিয়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে পরিত্যক্ত খাদান থেকে দেহ দুটি উদ্ধারও হয়।
এ দিন পুলিশের আসার কথা শুনে কয়েকশো বাসিন্দা জড়ো হন ওই এলাকায়। খাদান থেকে দেহদুটি তোলার পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশের ঘেরাটোপ থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। তাকে এলোপাথারি কিল-চড়-থাপ্পরও মারা হয়। এছাড়া পুলিশকে নিগ্রহও করা হয়। পুলিশের একটি জিপের কাচ ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ এই অবস্থা চলার পরে বারাবনি থানা থেকে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে ক্ষিপ্ত জনতাকে সরিয়ে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসা হয়। |